লোকসংবাদ প্রতিবেদন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার বাংলার শিক্ষক আলাউদ্দিনকে বিনা নোটিশে ও বিনা কারণে অব্যাহতি দেয়ায় ওই মাদরাসায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। অব্যাহতি উঠিয়ে নেয়ার দাবী, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষাদান পদ্ধতিকে আধুনিকায়নের দাবীতে শনিবার থেকে ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে চলেছে। শনিবার সকালে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা ঘন্টা বাজিয়ে মাদ্রাাসার ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন। উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় শিক্ষার্থীরা এবং এলাকাবাসী এ সকল অব্যবস্থাপনা ও ঘটনার জন্য মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমাম হোসেন, গভর্নিং বডির সদস্য হাজী আবু বকর ও তার পারিবারিক সদস্যদেরকে দায়ী করেছেন।
তারা আরো জানান, ঐতিহ্যবাহি দ্বীনী প্রতিষ্ঠান জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা নিয়ে একটি কুচক্রিমহল দীর্ঘদিন থেকে বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র করে আসছে। গভর্নিং বডির ২/১জন সদস্য, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের একটি অংশ এ সকল ষড়যন্ত্রের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
মাদরাসার অধ্যয়নরত ফাযিল ১ম বর্ষের ছাত্র মোজাম্মেল হক মিশু বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে এমনিতে আমাদের শিক্ষা জীবন ব্যাহত হচ্ছে। তদপুরি বাংলার শিক্ষক আলা উদ্দিনকে বিনা কারণে ও বিনা নোটিশে অব্যাহতি দিয়ে চলমান সংকটকে আরো ঘনিভূত করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমাম হোসেন। এতে ছাত্ররা বিক্ষুব্দ হয়ে ক্লাস বর্জনের কর্মসুচী দেয়। মাদরাসার ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আবু বক্কর ছিদ্দিকও কয়েকজন ছাত্র একই অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন, গভর্নিং বডির সদস্যদের মধ্যে হাজী আবু বকর ও তার পারিবারিক সদস্যরা সব সময় মাদরাসায় আধিপত্য বিস্তার করার লড়াইয়ে মেতে থাকেন। এরা মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে তাদের ব্যাক্তিগত ফায়দা লোটার কারনে ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নানা ষড়যন্ত্রের মূখে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় আবদুল আওয়াল, ইমাম উদ্দিনসহ মাদরাসার সাবেক কয়েকজন ছাত্র জানান, গভর্নিং বডির সদস্য হাজী আবু বকর ও তার লোকজনের মনোপুত না হলে মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হয় এবং তাদেরকে বিতাড়িত করা হয়। ইতোপূর্বেও হাজী আবু বক্কর ছিদ্দিক গং’রা মুছাপুর ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা’র কমিটিতে ছিল, এবং মাদ্রাসা’র অনেক জায়গা-জমি আত্মসাত করে ওই মাদরাসার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে শরাফতিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সময় এখানে অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটায়। পরবর্তিতে নানা দেনদরবার করে আধিপত্যের মাধ্যমে শরাফতিয়া মাদ্রাসা’র কমিটির সদস্য হয়ে এ মাদ্রাসাটিও ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমাম হোসেনকে দিয়ে নানা অপকর্ম কান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এ সকল বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমাম হোসেন তার সকল ব্যর্থতা ও অযোগ্যতা স্বীকার করে জানান, বাংলার শিক্ষক আলাউদ্দিনকে পূণর্বহাল এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে মাদরাসার ছাত্ররা শনিবার থেকে ক্লাস বর্জন করে আসছে। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলার শিক্ষক আলা উদ্দিনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে তিনি এ সংক্রান্ত রেজুলেশনের কপি দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, মাদরাসায় বহিরাগত কেউ আসেওনি তালাও লাগায়নি এবং মাদরাসা ছুটি দেয়নি। মাদরাসার নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই বিভিন্ন দাবীতে আন্দোলন করে আসছে।
নানা অভিযোগে অভিযুক্ত মাদরাসা’র গভর্নিং বডির সদস্য হাজী আবু বকরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মাদরাসার গভনিং বডির চেয়ারম্যান ড. মাওলানা আমিন উল্লাহ’র সাথে রোববার বিকেলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৮১৯৫৪৩৮১৫)বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার বাংলার শিক্ষক আলাউদ্দিনকে বিনা নোটিশে ও বিনা কারণে অব্যাহতি দেয়ায় ওই মাদরাসায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। অব্যাহতি উঠিয়ে নেয়ার দাবী, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষাদান পদ্ধতিকে আধুনিকায়নের দাবীতে শনিবার থেকে ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে চলেছে। শনিবার সকালে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা ঘন্টা বাজিয়ে মাদ্রাাসার ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন। উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় শিক্ষার্থীরা এবং এলাকাবাসী এ সকল অব্যবস্থাপনা ও ঘটনার জন্য মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমাম হোসেন, গভর্নিং বডির সদস্য হাজী আবু বকর ও তার পারিবারিক সদস্যদেরকে দায়ী করেছেন।
তারা আরো জানান, ঐতিহ্যবাহি দ্বীনী প্রতিষ্ঠান জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা নিয়ে একটি কুচক্রিমহল দীর্ঘদিন থেকে বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র করে আসছে। গভর্নিং বডির ২/১জন সদস্য, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের একটি অংশ এ সকল ষড়যন্ত্রের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
মাদরাসার অধ্যয়নরত ফাযিল ১ম বর্ষের ছাত্র মোজাম্মেল হক মিশু বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে এমনিতে আমাদের শিক্ষা জীবন ব্যাহত হচ্ছে। তদপুরি বাংলার শিক্ষক আলা উদ্দিনকে বিনা কারণে ও বিনা নোটিশে অব্যাহতি দিয়ে চলমান সংকটকে আরো ঘনিভূত করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমাম হোসেন। এতে ছাত্ররা বিক্ষুব্দ হয়ে ক্লাস বর্জনের কর্মসুচী দেয়। মাদরাসার ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আবু বক্কর ছিদ্দিকও কয়েকজন ছাত্র একই অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন, গভর্নিং বডির সদস্যদের মধ্যে হাজী আবু বকর ও তার পারিবারিক সদস্যরা সব সময় মাদরাসায় আধিপত্য বিস্তার করার লড়াইয়ে মেতে থাকেন। এরা মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে তাদের ব্যাক্তিগত ফায়দা লোটার কারনে ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নানা ষড়যন্ত্রের মূখে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় আবদুল আওয়াল, ইমাম উদ্দিনসহ মাদরাসার সাবেক কয়েকজন ছাত্র জানান, গভর্নিং বডির সদস্য হাজী আবু বকর ও তার লোকজনের মনোপুত না হলে মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হয় এবং তাদেরকে বিতাড়িত করা হয়। ইতোপূর্বেও হাজী আবু বক্কর ছিদ্দিক গং’রা মুছাপুর ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা’র কমিটিতে ছিল, এবং মাদ্রাসা’র অনেক জায়গা-জমি আত্মসাত করে ওই মাদরাসার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে শরাফতিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সময় এখানে অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটায়। পরবর্তিতে নানা দেনদরবার করে আধিপত্যের মাধ্যমে শরাফতিয়া মাদ্রাসা’র কমিটির সদস্য হয়ে এ মাদ্রাসাটিও ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমাম হোসেনকে দিয়ে নানা অপকর্ম কান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এ সকল বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমাম হোসেন তার সকল ব্যর্থতা ও অযোগ্যতা স্বীকার করে জানান, বাংলার শিক্ষক আলাউদ্দিনকে পূণর্বহাল এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে মাদরাসার ছাত্ররা শনিবার থেকে ক্লাস বর্জন করে আসছে। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলার শিক্ষক আলা উদ্দিনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে তিনি এ সংক্রান্ত রেজুলেশনের কপি দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, মাদরাসায় বহিরাগত কেউ আসেওনি তালাও লাগায়নি এবং মাদরাসা ছুটি দেয়নি। মাদরাসার নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই বিভিন্ন দাবীতে আন্দোলন করে আসছে।
নানা অভিযোগে অভিযুক্ত মাদরাসা’র গভর্নিং বডির সদস্য হাজী আবু বকরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মাদরাসার গভনিং বডির চেয়ারম্যান ড. মাওলানা আমিন উল্লাহ’র সাথে রোববার বিকেলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৮১৯৫৪৩৮১৫)বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
- আবু নাছের মঞ্জু