লোকসংবাদ প্রতিবেদন:
নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফায় দফায় ভাংচুর ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পুড়িয়ে মারার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আধাঘন্টাব্যপী বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এই মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসীসহ প্রায় তিনশতাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন।
সরেজমিনে গেলে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৪ জুন বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগকে কেন্দ্র করে সদ্য বিলুপ্ত বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তাঁর সন্ত্রাসীদের দিয়ে দফায় দফায় বিদ্যালয়ের টয়লেট ও শ্রেণীকক্ষের দরজা ভাংচুর করেছে। এক পর্যায়ে দুটি টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়। তাছাড়া তিনি স্বশরীরে বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডুকে শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। তার এসব অপকর্মের বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করা হলে শিশু শিক্ষার্থীদের এক কক্ষে ডুকিয়ে আগুন দিয়ে হত্যার হুমকিও দিয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। তাঁকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেয়ায় বিদ্যালয়ের বর্ধিত বিল্ডিংয়ের কাজও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একজন শিক্ষক। এসব ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর এবং সুধারাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এক পর্যায়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু তারপরও সদ্য বিলুপ্ত পর্ষদের সভাপতি প্রতিনিয়ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে এবং বিদ্যালয়ের বড় ধরনের ক্ষতি করে প্রধান শিক্ষককে ফাঁসানোরও হুমকি দিচ্ছে।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরও অভিযোগ সভাপতির এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে থানায় জিডি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে অবহিত করা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসন দফায় দফায় তদন্ত করেও কোন সুরহামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে না। উল্টো প্রধান শিক্ষক শামিম আরা বেগমকে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই টিপু কুমার রায় উল্টো অভিযোগ করেন সভাপতি অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষকই নাকি সভাপতিকে ফাঁসাতে এসব করে বেড়াচ্ছে। সভাপতির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না করা এবং সঠিকভাবে তদন্ত না করে প্রধান শিক্ষখকে পুলিশের দোষারপ করার ফলে বাধ্য হয়ে সোমবার দুপুরে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের সামনের কাঁদামাখা সড়কে তাঁরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। একাধিক অভিভাবক বলেন, কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে আসার সময় সভাপতি তাদের বলে যারা তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছ তাদের সবার বাড়িতে গিয়ে পেটানো হবে।
সরেজমিনে গেলে দেখা মেলে অভিযুক্ত সদ্য বিলুপ্ত বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সাথে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যে উল্লেখ করে এসবের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজেই দায়ি বলে দোষারপ করেন। তিনি বলেন, দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগে প্রধান শিক্ষক অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছে শিক্ষার্থীদের পুড়িয়ে মারবেন বলে আপনি হুমকি দিয়েছেন এবং আজও (গতকাল সোমবার) মানববন্ধনে আসা অভিভাবকদের বাড়ি গিয়ে মারধর করার হুমকি দিয়েছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ ব্যপারে নোয়াখালী সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মানববন্ধন কর্মসূচির বিষয়টি তিনি জানেন। তাছাড়া সকালে তিনি স্বশরীরে বিদ্যালয় পরিদর্শনও করেছেন। সৃষ্ট সকল সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করতে প্রধান শিক্ষককে অনুমতি দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
#
নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফায় দফায় ভাংচুর ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পুড়িয়ে মারার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আধাঘন্টাব্যপী বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এই মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসীসহ প্রায় তিনশতাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন।
সরেজমিনে গেলে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৪ জুন বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগকে কেন্দ্র করে সদ্য বিলুপ্ত বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তাঁর সন্ত্রাসীদের দিয়ে দফায় দফায় বিদ্যালয়ের টয়লেট ও শ্রেণীকক্ষের দরজা ভাংচুর করেছে। এক পর্যায়ে দুটি টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়। তাছাড়া তিনি স্বশরীরে বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডুকে শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। তার এসব অপকর্মের বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করা হলে শিশু শিক্ষার্থীদের এক কক্ষে ডুকিয়ে আগুন দিয়ে হত্যার হুমকিও দিয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। তাঁকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেয়ায় বিদ্যালয়ের বর্ধিত বিল্ডিংয়ের কাজও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একজন শিক্ষক। এসব ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর এবং সুধারাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এক পর্যায়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু তারপরও সদ্য বিলুপ্ত পর্ষদের সভাপতি প্রতিনিয়ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে এবং বিদ্যালয়ের বড় ধরনের ক্ষতি করে প্রধান শিক্ষককে ফাঁসানোরও হুমকি দিচ্ছে।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরও অভিযোগ সভাপতির এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে থানায় জিডি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে অবহিত করা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসন দফায় দফায় তদন্ত করেও কোন সুরহামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে না। উল্টো প্রধান শিক্ষক শামিম আরা বেগমকে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই টিপু কুমার রায় উল্টো অভিযোগ করেন সভাপতি অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষকই নাকি সভাপতিকে ফাঁসাতে এসব করে বেড়াচ্ছে। সভাপতির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না করা এবং সঠিকভাবে তদন্ত না করে প্রধান শিক্ষখকে পুলিশের দোষারপ করার ফলে বাধ্য হয়ে সোমবার দুপুরে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের সামনের কাঁদামাখা সড়কে তাঁরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। একাধিক অভিভাবক বলেন, কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে আসার সময় সভাপতি তাদের বলে যারা তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছ তাদের সবার বাড়িতে গিয়ে পেটানো হবে।
সরেজমিনে গেলে দেখা মেলে অভিযুক্ত সদ্য বিলুপ্ত বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সাথে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যে উল্লেখ করে এসবের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজেই দায়ি বলে দোষারপ করেন। তিনি বলেন, দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগে প্রধান শিক্ষক অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছে শিক্ষার্থীদের পুড়িয়ে মারবেন বলে আপনি হুমকি দিয়েছেন এবং আজও (গতকাল সোমবার) মানববন্ধনে আসা অভিভাবকদের বাড়ি গিয়ে মারধর করার হুমকি দিয়েছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ ব্যপারে নোয়াখালী সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মানববন্ধন কর্মসূচির বিষয়টি তিনি জানেন। তাছাড়া সকালে তিনি স্বশরীরে বিদ্যালয় পরিদর্শনও করেছেন। সৃষ্ট সকল সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করতে প্রধান শিক্ষককে অনুমতি দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
#
- আবু নাছের মঞ্জু