সর্বশেষ

হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

নোয়াখালীর আদালতে বুধবার পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। দন্ডিতদের মধ্যে আপন দুই ভাই রয়েছেন। জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌশলী (পিপি) এটিএম মহিব উল্লাহ জানান, কুমিল্লার মেরকোর্ট গ্রামের আবদুর জলিলের ছেলে অটোরিক্সার চালক মো. ইয়াকুব হত্যা মামলায় চার ছিনতাইকারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আবদুল কুদ্দুস মিয়া। দন্ডিতরা হলেন-সোনাইমুড়ি উপজেলার দৌলতপুর  গ্রামের বেলায়েত হোসেন, মোঃ শাহাজাহান মিরাজ, জাহাঙ্গীর আলম ও নূরুল ইসলাম। রায়ে দন্ডিতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও আনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল রাতে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের তেমোহনী বাজার এলাকায় যাত্রীবেশী চার ছিনতাইকারী অটোরিক্সার চালক মোঃ ইয়াকুবকে ছুরিকাঘাতে আহত করে অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেয়। এ সময় চালকের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দুই ছিনতাইকারী বেলায়েত হোসেন ও  মোঃ শাহাজাহান মিরাজকে আট করে পুলিশে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায়  অটোরিক্সার চালক ইয়াকুবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তবরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় পরদিন অটোরিকশার মালিক হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রায় ঘোষনার সময় বেলায়েত হোসেন ও মোঃ শাহাজাহান মিরাজ আদালতে উপস্থিতি ছিলেন। পলাতক অপর দুই জনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারী করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত।

জেলা বিশেষ জজ আদালতের সরকারী কৌশলী (পিপি) কাজী এবিএম শাহজাহান শাহীন জানান, নোয়াখালীর বাণিজক শহর চৌমুহনীর হক লাইব্রেরির মালিক ফজলুল হক প্রকাশ হক সাহেব হত্যার দায়ে আপন দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার। দন্ডিতরা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের ছাদু মিয়ার ছেলে দুই আবুল হাশেম (৬১) ও জামাল উদ্দিন (৫২)।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আবুল হাশেম ও জামাল উদ্দিন তাদেও অপরাপর সহযোগীদেরকে নিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চৌমুহনী স্টেশন রোড থেকে মাইক্রোবাসযোগে ব্যবসায়ী ফজলুল হককে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি ফজলুল হকের পিতা সামছুল হক বাদী হয়ে হাশেম ও জামালকে আসামী করে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আবুল হাশেমকে গ্রেপ্তার করে। অপর আসামী জামাল উদ্দিন পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হত্যার পর হত্যাকারীরা নিহতের লাশ গুম করেছে মর্মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী, স্বাক্ষ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার দুপুরে আদালত রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামী আবুল হাশেম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক অপর আসামী জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

নিহতের ছোট ভাই জিয়াউল হক জিয়া যাবজ্জীবন রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, অভিযুক্ত আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

  • আবু নাছের মঞ্জু

লোকসংবাদ | Loksangbad | The First Bangla Online Newspaper from Noakhali সাজসজ্জা করেছেন মুকুল | কপিরাইট © ২০২০ | লোকসংবাদ | ব্লগার

Bim থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.