ফ কি র ই লি য়া স
কালের কবিতা লিখে প্রেমের উত্থান
কবিতা শিল্পচিন্তনের অন্যতম শিকড়। যারা কবিতাকে ভালবেসে উন্মত্ত আলোয় নিজেকে অন্বেষণ করে, এই সমাজে সেরকম মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কোনো ভাষার সাহিত্যেই কবিতা, বহুল পঠিত সেটা বলার সাহস আমি দেখাতে পারি না। তারপরও কবিতা মানুষের প্রজ্ঞার কথা বলে। মানুষের আকাংখার কথা বলে। মানুষের ভালোবাসার কথা বলে।
আমাদের এই পরিবর্তনশীল বিশ্বে ভাবনার ভাষা বদলাচ্ছে। বদলেছে লেখালেখির মাধ্যমও।
ব্লগ, আমাদের খাতাপৃষ্টার নতুন সংযোজন।
আমরা দেখছি, ব্লগ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ভাষার লেখক-লেখিকাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।
ব্লগে লেখালেখির সুবিধা হচ্ছে এই, এখানে লেখক-পাঠক সরাসরি মত, ভাব, চিন্তন বিনিময় করা যায় খুব দ্রুত।
এ সময়ের সাড়া জাগানো বাংলা ব্লগ ''সামহোয়্যার ইন ব্লগ: বাঁধ
ভাঙার আওয়াজ '' কিংবা আমারব্লগ এ তেমনি ভোরের প্রত্যয় লিখছেন অনেকেই।
এদের বিশেষত্ব হচ্ছে, এরা শুধুমাত্র ব্লগে লিখেই প্রতিষ্ঠার দোরগোড়ায়
পৌঁছুনোর অধ্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছেন।
শহীদুল ইসলাম মুকুল তাদের মাঝে অন্যতম একজন।
তিনি কবিতা লিখেন প্রগাঢ় ভালোবাসার ধ্রুবনৈপুণ্য কে মননের শিয়র ভেবে।
আমি যতোই তার কবিতাগুলো পড়েছি, আমার মনে হয়েছে
একধরনের মোহ আমাকে আবিষ্ট করছে। আমি স্পর্শ করছি
বৃষ্টিতে ভেজা গুচ্ছ কদমফুল।
মুকুলের কবিতায় দেশপ্রেম, মানবপ্রেম , প্রকৃতিপ্রেম উঠে আসে
খুব সহজ বয়নে। এটা তার নিজস্ব কৃতিত্ব।
কবিতায় তিনি আঞ্চলিক শব্দের ব্যবহার করে বিবর্তনের নিরীক্ষায়
শামিল হয়েছেন, এটাও তার সাহসিকতা।
পংক্তির পুষ্পসম্ভারকে মহাকালের হাতে রেখেই দর্শকের ভূমিকায়
অবতীর্ণ হন কবি।
কবি শহীদুল ইসলাম মুকুল এই পথের নবীন
যাত্রী। আমার বিশ্বাস, তার কবিতা বাংলা ভাষার সাহিত্যমোদী,
সমালোচক, পাঠক-পাঠিকা, ভাষাবেত্তা - সবাইকে নতুন ভাবনার
আমিষ যুগাবে।
আমাদের চারপাশ ঘিরে ধরেছে নগ্ন আঁধারসময়। আমি মুক্ত
প্রদীপ হাতে কবি শহীদুল ইসলাম মুকুল কে বাংলা কবিতার
বর্ণিল ভুবনে স্বাগত জানাচ্ছি ।
কবিতার জয় হোক। কবির জয় হোক।
ফকির ইলিয়াস
নিউইয়র্ক