সুরঞ্জিত নাগ, ফেনী:
ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ফসলের মাঠ থেকেও পানি নেমে গেছে। কিন্তু এখন কৃষকের দুচিন্তা নষ্ট হওয়া রোপা আমন কিভাবে লাগাবে।
গত ২০ আগষ্ট পাহাড়ী ঢলের পানির চাপে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বেড়ি বাঁধের ১৮টি ভাঙ্গন স্থান দিয়ে পািন ঢুকে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ২৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে দুই উপজেলার এক হাজার ৬শত হেক্টর জমির আমন রোপা ও বীজতলা নষ্ট হয়ে ক্ষতি হয়েছে ৩১ লাখ টাকা। আট শত পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ২৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক নষ্ট হয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। এতে প্রাথমিকভাবে মোট প্রায় ১১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফজলুল করিম বলেন, ফুলগাজী উপজেলায় বন্যায় এক হাজার পাঁচ শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিন শত হেক্টর রোপা আমন ও বীজতলা পানিতে তলীয়ে কৃষিতে ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চার শত পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে পরশুরাম উপজেলায় এক হাজার তিন শত হেক্টর আমন রোপা ও বীজতলা নষ্ট হয়ে কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ২৫ লাখ টাকা, ৪০০টি পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে ৪০ লাখ টাকা এবং ৭ কিলোমিটার পাকা সড়ক নষ্ট হয়ে ক্ষতি হয়েছে চার কোটি টাকা। তাছাড়া দুই উপজেলায় প্রায় সবগুলি কাঁচা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামের কৃষক মো. শহীদ উল্যা বলেন, তিনি প্রায় চার একর জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছিলেন। বন্যার পানিতে তার সব রোপা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে রোপা লাগানোর জন্য তারা কাছে এমকি এলাকায়ও কারো কাছে আমনের চারা বা বীজতলা নেই। তিনি কি ভাবে আবার রোপা লাগাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রমজান আলী প্রামানিক জানান, দুই দফায় বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বেড়ি বাঁধের ১৮টি স্থানে ২২০ মিটার এলাকা ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। পানি শুকানো পর এ গুলো মেরামত করতে প্রায় এক কোটি টাকা লাগতে পারে।
ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ফসলের মাঠ থেকেও পানি নেমে গেছে। কিন্তু এখন কৃষকের দুচিন্তা নষ্ট হওয়া রোপা আমন কিভাবে লাগাবে।
গত ২০ আগষ্ট পাহাড়ী ঢলের পানির চাপে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বেড়ি বাঁধের ১৮টি ভাঙ্গন স্থান দিয়ে পািন ঢুকে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ২৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে দুই উপজেলার এক হাজার ৬শত হেক্টর জমির আমন রোপা ও বীজতলা নষ্ট হয়ে ক্ষতি হয়েছে ৩১ লাখ টাকা। আট শত পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ২৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক নষ্ট হয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। এতে প্রাথমিকভাবে মোট প্রায় ১১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফজলুল করিম বলেন, ফুলগাজী উপজেলায় বন্যায় এক হাজার পাঁচ শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিন শত হেক্টর রোপা আমন ও বীজতলা পানিতে তলীয়ে কৃষিতে ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চার শত পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে পরশুরাম উপজেলায় এক হাজার তিন শত হেক্টর আমন রোপা ও বীজতলা নষ্ট হয়ে কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ২৫ লাখ টাকা, ৪০০টি পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে ৪০ লাখ টাকা এবং ৭ কিলোমিটার পাকা সড়ক নষ্ট হয়ে ক্ষতি হয়েছে চার কোটি টাকা। তাছাড়া দুই উপজেলায় প্রায় সবগুলি কাঁচা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামের কৃষক মো. শহীদ উল্যা বলেন, তিনি প্রায় চার একর জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছিলেন। বন্যার পানিতে তার সব রোপা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে রোপা লাগানোর জন্য তারা কাছে এমকি এলাকায়ও কারো কাছে আমনের চারা বা বীজতলা নেই। তিনি কি ভাবে আবার রোপা লাগাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রমজান আলী প্রামানিক জানান, দুই দফায় বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বেড়ি বাঁধের ১৮টি স্থানে ২২০ মিটার এলাকা ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। পানি শুকানো পর এ গুলো মেরামত করতে প্রায় এক কোটি টাকা লাগতে পারে।