লোকসংবাদ প্রতিনিধিঃ
জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও ভারি বৃষ্টির কারণে নোয়াখালী বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। বেশির ভাগ এলাকার লোকজন বাড়িঘরে পানিবন্দি হয়ে আছে। সাত হাজার হেক্টর জমির আমন ধানে বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।
ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের জেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার দুপুরে ভাঙ্গা বেড়ি দিয়ে চার ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে হাতিয়ার নলচিরা, চর ঈশ্বর, চরকিং ইউনিয়নের ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়। এ সময় নলচিরা-জাহাজমারা সড়কে তিন ফুট পানি উঠে যায়।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী আবু হাসনাত মো. মঈন উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে বৃহস্পতিবার নলচিরা ইউনিয়নে এক কিলোমিটার বেড়িবাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের সময় বেড়ির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে লোকালয় প্লাবিত হলেও জোয়ারের পর পানি নেমে যায়।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হারুনু রশিদ জানান, উপজেলার আটটি ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। আমন ধানের সবগুলো বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতি পুসিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে নতুন করে বীজতলা তৈরি ও বিএডিসি থেকে কৃষকদেরকে বীজ সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান জানান, মুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়া উপজেলার ৪৫ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।