লোকসংবাদ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাজিপুরের নাপিতের পোল এলাকায় গৃহকর্মে নিয়োজিত এক শিশুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার ছ্যাকাঁ, গরম পানি ডেলে দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত গৃহকর্তা ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নাপিতের পোল এলাকায় বেগমগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের বাসায় গত এক বছর থেকে ভোলার দৌলদখাঁ উপজেলার মাঝির হাট গ্রামের মো. আলমগীরের মেয়ে বিবি আমেনা(১৩) গৃহস্থালী কাজ করে আসছে। সাইফুল নিজে ও তার স্ত্রী ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের কম্পিউটার অপারেটর মিকুনাথ বেগম নিনুবা প্রায় সময় শিশুটির ওপর নানা রকম শারীরিক নির্যাতন চালান। কয়েক দিন আগে লোহার খনতি গরম করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকাঁ, গায়ে গরম পানি ও মরিচের গুড়ো ঢেলে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে দুইদিন বাসার বাথরুমে আটকে রাখা হয়। এক পর্যায়ে গত বুধবার শিশুটি ওই বাসা থেকে পালিয়ে এলাকার লোকজনকে বিষয়টি জানায়। স্থানীয় লুৎফুর রহমান রবির স্ত্রী আনোয়ারা বেগম লিপি জানান, পালিয়ে এসে মেয়েটি তাকে বাঁচানোর আকুতি জানায় তাদের কাছে। এ সময় তার হাতের ক্ষত থেকে দুগন্ধ বের হচ্ছিল, শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোসকা দেখা যায়। মেয়েটি দুই দিন কিছু খেতে পায়নি বলেও জানিয়েছে তাদেরকে। এলাকার লোকজন বিষয়টি থানায় অবহিত করলে বুধবার মধ্যরাতে পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অসীম কুমার দাশ জানান, শিশুটির আঘাত গুরুতর। তার ডান হাতের বাহু, বুক ও পায়ে পোড়া আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জেলা সদরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ ব্যপারে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শওকত হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে শিশুটির শারীরিক অবস্থা দেখে ও তার সাথে কথা বলে মনে হয়েছে অনেক দিন থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। এ ব্যপারে শিশুটির বাবা মো. আলমগীর বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিকুনাথ বেগম নিনুবাকে আসামী করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাজিপুরের নাপিতের পোল এলাকায় গৃহকর্মে নিয়োজিত এক শিশুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার ছ্যাকাঁ, গরম পানি ডেলে দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত গৃহকর্তা ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নাপিতের পোল এলাকায় বেগমগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের বাসায় গত এক বছর থেকে ভোলার দৌলদখাঁ উপজেলার মাঝির হাট গ্রামের মো. আলমগীরের মেয়ে বিবি আমেনা(১৩) গৃহস্থালী কাজ করে আসছে। সাইফুল নিজে ও তার স্ত্রী ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের কম্পিউটার অপারেটর মিকুনাথ বেগম নিনুবা প্রায় সময় শিশুটির ওপর নানা রকম শারীরিক নির্যাতন চালান। কয়েক দিন আগে লোহার খনতি গরম করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকাঁ, গায়ে গরম পানি ও মরিচের গুড়ো ঢেলে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে দুইদিন বাসার বাথরুমে আটকে রাখা হয়। এক পর্যায়ে গত বুধবার শিশুটি ওই বাসা থেকে পালিয়ে এলাকার লোকজনকে বিষয়টি জানায়। স্থানীয় লুৎফুর রহমান রবির স্ত্রী আনোয়ারা বেগম লিপি জানান, পালিয়ে এসে মেয়েটি তাকে বাঁচানোর আকুতি জানায় তাদের কাছে। এ সময় তার হাতের ক্ষত থেকে দুগন্ধ বের হচ্ছিল, শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোসকা দেখা যায়। মেয়েটি দুই দিন কিছু খেতে পায়নি বলেও জানিয়েছে তাদেরকে। এলাকার লোকজন বিষয়টি থানায় অবহিত করলে বুধবার মধ্যরাতে পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অসীম কুমার দাশ জানান, শিশুটির আঘাত গুরুতর। তার ডান হাতের বাহু, বুক ও পায়ে পোড়া আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জেলা সদরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ ব্যপারে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শওকত হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে শিশুটির শারীরিক অবস্থা দেখে ও তার সাথে কথা বলে মনে হয়েছে অনেক দিন থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। এ ব্যপারে শিশুটির বাবা মো. আলমগীর বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিকুনাথ বেগম নিনুবাকে আসামী করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।