সুরঞ্জিত নাগ, ফেনী:
ছাগলনাইয়া পৌরসভার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ একটি ভেঙ্গে যাওয়া কালভার্ট পুননির্মাণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত শিশু শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের তিন কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে।
ছাগলনাইয়া পৌরসভা সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, গত আগস্ট মাসের শুরুতে পাহাড়ি ঢলে পানির প্রবল স্রোতে
ছাগলনাইয়া পৌর এলাকার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের সাধারণ মানুষের চলাচলের পথে একটি কালভার্ট সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহানো শুরু হয়। এ কালভার্টের ওপর দিয়ে স্থানীয় ওয়ালি উল্লাহ দ্বীনিয়া মাদ্রাসা ও পূর্ব ছাগলনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাগলনাইয়া সরকারি কলেজ, ছাগলনাইয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ছাগলনাইয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। শুধু ওই কালভার্টটির অভাবে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে প্রায় তিন কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, অফিস-আদালত ও হাট-বাজারে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।
কালভার্টটি পুননির্মাণ না হওয়ায় পানির স্রোতে কালভার্ট এলাকা ছাড়াও সড়কের দুই অংশে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রথমে স্থানীয়ভাবে চাঁদা সংগ্রহ করে একটি সাঁকো নির্মাণ করেন। কয়েকদিন পর একইমাসে দ্বিতীয় দফার বন্যার সময় গ্রামবাসীর তৈরি ওই বাঁশের সাঁকোটিও সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। এরপর ছাগলনাইয়া পৌর কর্তৃপক্ষ স্থানীয়ভাবে সাময়িক জনচলাচলের জন্য বাঁশের খুঁটির ওপরে একটি বাঁশের সেতু নির্মাণ করেন। কিন্তু সেটিও এখন নড়বড়ে। এ বাঁশের সেতুর উপর দিয়ে মালামাল নিয়ে একটি রিক্সাও চলতে পারে না।
পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের অধিবাসী মো. মামুন ও মো. ইয়াছিন জানান, কালভার্টটি দ্রুত পুননির্মাণ না হলে এলাকাবাসীকে দীর্ঘ সময় ভোগান্তি পোহাতে হবে।
পূর্ব ছাগলনাইয়া ওয়ালি উল্লাহ দ্বীনিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মো. নুরনবী বলেন, শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় যাতায়াতের সময় বাঁশের সেতুটি কেঁপে ওঠে। এতে করে ওই সেতুর ওপর দিয়ে যেতে ভয় হয়। ফলে তাদেরকে প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে মাদ্রাসায় যেতে হয়।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুন্সি হোসেন জানান, কালভার্টটি পুননির্মাণের জন্য পৌরসভার সভায় আলোচনা হয়েছে।
ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর জানান, কালভার্টটি জলবায়ু তহবিল থেকে পুননির্মাণের জন্য ১৩ লাখ ৪২ হাজার টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম) আসনের সাংসদ শিরীন আখতার সম্প্রতি ভাঙা কালভার্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় যেন কালভার্টটি পুননির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্ধ করে সে ব্যাপারে তিনি চেষ্টা করবেন।
ছাগলনাইয়া পৌরসভার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ একটি ভেঙ্গে যাওয়া কালভার্ট পুননির্মাণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত শিশু শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের তিন কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে।
ছাগলনাইয়া পৌরসভা সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, গত আগস্ট মাসের শুরুতে পাহাড়ি ঢলে পানির প্রবল স্রোতে
ছাগলনাইয়া পৌর এলাকার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের সাধারণ মানুষের চলাচলের পথে একটি কালভার্ট সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহানো শুরু হয়। এ কালভার্টের ওপর দিয়ে স্থানীয় ওয়ালি উল্লাহ দ্বীনিয়া মাদ্রাসা ও পূর্ব ছাগলনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাগলনাইয়া সরকারি কলেজ, ছাগলনাইয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ছাগলনাইয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। শুধু ওই কালভার্টটির অভাবে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে প্রায় তিন কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, অফিস-আদালত ও হাট-বাজারে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।
কালভার্টটি পুননির্মাণ না হওয়ায় পানির স্রোতে কালভার্ট এলাকা ছাড়াও সড়কের দুই অংশে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রথমে স্থানীয়ভাবে চাঁদা সংগ্রহ করে একটি সাঁকো নির্মাণ করেন। কয়েকদিন পর একইমাসে দ্বিতীয় দফার বন্যার সময় গ্রামবাসীর তৈরি ওই বাঁশের সাঁকোটিও সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। এরপর ছাগলনাইয়া পৌর কর্তৃপক্ষ স্থানীয়ভাবে সাময়িক জনচলাচলের জন্য বাঁশের খুঁটির ওপরে একটি বাঁশের সেতু নির্মাণ করেন। কিন্তু সেটিও এখন নড়বড়ে। এ বাঁশের সেতুর উপর দিয়ে মালামাল নিয়ে একটি রিক্সাও চলতে পারে না।
পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের অধিবাসী মো. মামুন ও মো. ইয়াছিন জানান, কালভার্টটি দ্রুত পুননির্মাণ না হলে এলাকাবাসীকে দীর্ঘ সময় ভোগান্তি পোহাতে হবে।
পূর্ব ছাগলনাইয়া ওয়ালি উল্লাহ দ্বীনিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মো. নুরনবী বলেন, শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় যাতায়াতের সময় বাঁশের সেতুটি কেঁপে ওঠে। এতে করে ওই সেতুর ওপর দিয়ে যেতে ভয় হয়। ফলে তাদেরকে প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে মাদ্রাসায় যেতে হয়।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুন্সি হোসেন জানান, কালভার্টটি পুননির্মাণের জন্য পৌরসভার সভায় আলোচনা হয়েছে।
ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর জানান, কালভার্টটি জলবায়ু তহবিল থেকে পুননির্মাণের জন্য ১৩ লাখ ৪২ হাজার টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম) আসনের সাংসদ শিরীন আখতার সম্প্রতি ভাঙা কালভার্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় যেন কালভার্টটি পুননির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্ধ করে সে ব্যাপারে তিনি চেষ্টা করবেন।