আবু নাছের মঞ্জু:
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ ইলিয়াছ শরীফ পিপিএম-সেবা এবার বিপিএম-সেবা (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) পদক পাচ্ছেন।
জঙ্গি, সন্ত্রাস, নাশকতা প্রতিরোধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বলিষ্ঠ ভূমিকার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য তাঁকে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ এই পদকের জন্যে মনোনীত হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আগামী ৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আয়োজিত পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কুচকাওয়াজে এসপি ইলিয়াছ শরীফকে এই পদক পরিয়ে দেবেন। এর আগে ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি পিপিএম-সেবা (প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল) অর্জন করেন, ২০০৭ ও ২০১২ সালে জাতিসংঘ শান্তিপদক লাভ করেন, ২০১১ ও ২০১৪ সালে আইজি ব্যাজ লাভ করেন।
মোঃ ইলিয়াছ শরীফ ২০০১ সালের ৩১ মে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরীতে যোগদান করেন। তিনি ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ নোয়াখালীতে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার পোরকরা গ্রামে হেযবুত তাওহীদের অনুসারীদের একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সেখানে বেধর্মী কাজ হবে এমন গুজব ছড়িয়ে একটি চক্র গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অরাজক পরিস্থিতি সৃস্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা। ঘটনার দিন একদল লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হেযবুত তাওহীদের অনুসারীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা হেযবুত তাওহীদের দুই কর্মীকে পুড়িয়ে ও জবাই করে হত্যা করে এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো এলাকায় ভয়াবহ তান্ডব সৃস্টি করে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ ইলিয়াছ শরীফ পিপিএম-সেবা এবার বিপিএম-সেবা (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) পদক পাচ্ছেন।
জঙ্গি, সন্ত্রাস, নাশকতা প্রতিরোধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বলিষ্ঠ ভূমিকার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য তাঁকে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ এই পদকের জন্যে মনোনীত হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আগামী ৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আয়োজিত পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কুচকাওয়াজে এসপি ইলিয়াছ শরীফকে এই পদক পরিয়ে দেবেন। এর আগে ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি পিপিএম-সেবা (প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল) অর্জন করেন, ২০০৭ ও ২০১২ সালে জাতিসংঘ শান্তিপদক লাভ করেন, ২০১১ ও ২০১৪ সালে আইজি ব্যাজ লাভ করেন।
মোঃ ইলিয়াছ শরীফ ২০০১ সালের ৩১ মে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরীতে যোগদান করেন। তিনি ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ নোয়াখালীতে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার পোরকরা গ্রামে হেযবুত তাওহীদের অনুসারীদের একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সেখানে বেধর্মী কাজ হবে এমন গুজব ছড়িয়ে একটি চক্র গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অরাজক পরিস্থিতি সৃস্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা। ঘটনার দিন একদল লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হেযবুত তাওহীদের অনুসারীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা হেযবুত তাওহীদের দুই কর্মীকে পুড়িয়ে ও জবাই করে হত্যা করে এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো এলাকায় ভয়াবহ তান্ডব সৃস্টি করে।
খবর পেয়ে এসপি মোঃ ইলিয়াছ শরীফ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সাহসিকতা ও বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দেন। এ সময় তিনি সহ আরো ৮/১০ জন পুলিশ সদস্য জখমপ্রাপ্ত হন। এক পর্যায়ে ফেনী, লক্ষীপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। যুক্ত হয় কয়েক প্লাটুন র্যাব ও বিজিবি সদস্য। এসপি ইলিয়াছ শরীফের নেতৃত্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেদিন মধ্যরাত পর্যন্ত প্রায় ১৩ ঘন্টাব্যাপী শ্বাষরুদ্ধকর অভিযানে তীব্র আক্রমণের মুখে আটকা পড়া ১১৪ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিরাপদে জেলা সদরে পুলিশ হেফাজতে নিতে সক্ষম হন। পথে বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ও বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে-আগুন জ্বালিয়ে সড়কে অবরোধ সৃষ্টি এবং সোনাইমুড়ি থানা আক্রমণের চেষ্টা হলেও দক্ষতা ও সাহসিকতার সাথে সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে পুলিশ।
১১৪ জন মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষায় এসপি ইলিয়াছ শরীফের নেতৃত্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহসী পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ পুলিশ ও সরকারের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পায়।
জেলা পুলিশ পরিচালিত ব্লাড ব্যাংকের কার্যক্রম, সুবিধাবঞ্চিত শিশুরকে নিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী ঈদ উৎসব, হতদরিদ্র নারী ও শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বিভিন্ন সামাজি, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে পুলিশ সুপারের অংশগ্রহণ ও প্রনোদনা প্রদান পুলিশ সম্পর্কে মানুষের ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে।