লোকসংবাদ প্রতিনিধি:
“খাদ্যের কথা ভাবতে হলে পুষ্টির কথাও ভাবুন” শ্লোগানকে সামনে রেখে শিশু মাতৃপুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা তৈরি এবং শিশুদের দেশীয় ফলফলাদি-পুষ্টিকর খাদ্যের সাথে পরিচিত করে তুলতে নোয়াখালীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে পুষ্টিক্যাম্পে আয়োজন করেছে নীতি-অধিপরামরর্শ বেসরকারি সংগঠন পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যাকশান নেটওয়ার্ক-প্রান। পুষ্টি বিষয়ক বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক সিএসএ ফর সান বাংলাদেশের সহযোগিতায় ২৯ এপ্রিল ২০১৯ শহরের এন. লিটল্ কিন্টারগার্ডেনের শিশুদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতা, দেশী ফলের প্রদর্শনী, পোস্টার প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াখালী নারী অধিকার জোটের সভাপতি এন. লিটল্ কিন্টারগার্ডেনের অধ্যক্ষ লায়লা পারভীনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যাকশান নেটওয়ার্ক-প্রানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আলম মাসুদ, কর্মসূচি কর্মকর্তা নাছিমা মুন্নী, একুশে টেলিভিশনের নোয়াখালী প্রতিনিধি আজাদুল ইসলাম প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ি দৈনিক ২ হাজার ১২২ ক্যালরি খাবার কিনতে অক্ষম এমন মানুষের সংখ্যা ০৪ কোটি। আবার এদের ০২ কোটি লোক ১ হাজার ৮০৫ কিলোক্যালরি খাবার কেনার মতো আয় করতে পারে না। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০ (এসডিজি)র উন্নয়ন কাঠামোর অন্যতম লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের দারিদ্রের অবসান এবং আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ক্ষুধা মুক্তির অঙ্গিকার। সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্ঠির নিরাপত্তা বিধান, সকল বয়সী মানুষের জন্য পুষ্ঠিকর খাবার নিশ্চিত, বিশেষ করে শিশুদের জন্য সুষম খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধানের সরকারি বেসরকারি উদ্যোগের দাবি জানান।
বক্তারা, আমাদের ওষুধনির্ভর পুষ্টিগ্রহণের মানসিকতা থেকে সরে আসতে হবে। পুষ্টি নিতে হবে ডিম, দুধ , দেশীয় ফলমূল, সবজি থেকে। সুস্থ্য থাকতে বেশি বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ফলমুল, শাক-সবজি, ডিম ও দুধ সহ সকল ধরণের পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। দেশীয় পুষ্টিকর থাকারগুলো নিয়মিত খেলেই গলগন্ড, রাতকানা, হাম ও বসন্ত সহ নানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই পুষ্টিজনিত রোগ থেকে বাচঁতে হলে প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে । আর এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। একই সাথে শিশুরা যেন দেশী ফলফলাদি এবং শাকসবজি খায় এবং অভ্যাস গড়ে তোলে সে বিষয়ে পাঠদান এবং পারিবারিক শিক্ষার জোর দেন।