সর্বশেষ

কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনে নিম্ন মানের কাজ মেয়াদ উত্তীর্ণের ২০মাস পরও কাজ সমাপ্ত হয়নি


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের নতুন ভবনে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার ২০মস পরও কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় হাসপাতালের রোগীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স বসার জায়গা নেই। ডাক্তার নার্সেরা স্বল্প কক্ষে গাদাগাদি করে বসে রোগীদেরকে সেবা দিতে দেখা যায়। কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসিক ভবনের কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় চিকিৎসকরা দূর দূরান্ত থেকে অনিয়মিত ভাবে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন বলে তারা লোকসংবাদকে জানান।
নতুন ভবনের কাজ করার সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুরাতন আবাসিক ভবনের ইট, মরিচা পড়া রড় ব্যবহার কালে হাসপাতালের কতৃপক্ষ ও স্থানীয় লোকজন বাধা দেওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে কাজ করছে। ২০০৮ সালে মধ্যে হাসপাতালের নতুন ভবন ও আবাসিক ভবন কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও ২০১০সালের এ পর্যন্ত হাসপাতালের কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে রোগী ও হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ক্ষোভ, নিন্দা ও হতাশা ব্যাক্ত করেন।  
হাসপাতাল সূত্র থেকে জানাযায়, ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ কাজের ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ ও পুরাতন ভবনের সংস্কার এবং ৩টি নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণ কালে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিম্নমানের কাজ দেখে উপজেলা চেয়াম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন এর কঠোর সমালোচনা করেন।
বিগত জোট সরকারের সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিএমএমইউ এর তত্ত্বাবধানে কোম্পানীগঞ্জের স্বাস্থ্য কমপ্লেবনটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য ৫ কোটি ১৮ লাখ ৪১ হাজার ১১১ টাকা বরাদ্ধ দেয়। ঢাকার মেসার্স আজাদ কনষ্ট্রাকশন এ কাজের ঠিকাদারির দায়িত্ব পায়। তারা কাজের শুরু থেকেই হাসপাতালের পুরোনো ভবন সিন্ডিকেট করে টেন্ডারে নিয়ে সেখানকার পুরোনো ইট রড়সহ নিুমানের যাবতীয় মালামাল নতুন ভবনে ব্যবহার করে। স্থানীয় অধিবাসী ও হাসপাতাল কতৃপক্ষ এর প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারের লোকজন তা উপেক্ষা করে ভবনের ৮০% নির্মাণ কাজ করে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই ইতোমধ্যে মূল ভবনের প্লোরের অনেক জায়গায় প্লাস্টার ওঠে গর্ত হয়েছে। এছাড়া ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়ায় এটি নিয়ে জনসাধারণ ও ডাক্তাদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মফিজুল আলম জানান, ভবন নির্মাণে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে ঠিকাদার। এনিয়ে অনেক লেখালেখি হলেও তাতে কোন ফল হয়নি। বর্তমানে নতুন ভবনটি দেখতে সবার দৃষ্টিকটু মনে হয়।



  • মোঃ শরফুদ্দিন শাহীন

লোকসংবাদ | Loksangbad | The First Bangla Online Newspaper from Noakhali সাজসজ্জা করেছেন মুকুল | কপিরাইট © ২০২০ | লোকসংবাদ | ব্লগার

Bim থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.