সর্বশেষ

হাতিয়ার চরাঞ্চলে দস্যু বাহিনীর বিরুদ্ধে র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে

আবু নাছের মঞ্জু, নোয়াখালী: 
নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার দুর্গম চরাঞ্চলে বিভিন্ন দস্যু বাহিনীর বিরুদ্ধে সোমবার সকাল থেকে র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ হাযারী অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যৌথ অভিযানে এআইজি মুকবুল হোসেনের নেতৃত্বে  পুলিশের দুইশ এবং মেজর আবদুর রহমানের নেতৃত্বে র‌্যাবের ৪০ জন সদস্য কাজ করছেন। এছাড়া গত কয়েক দিন ধরে চরাঞ্চলে বন দসুদের নিয়ে মিডিয়ায় পরিবেশিত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পুলিশ, র‌্যাব, এনএসআই ও ডিজিএফআই’র পৃথক পৃথক তদন্ত দল কাছ করছে বলেও তিনি জানান।
এরআগে চারটি টিমে শতাধিক পুলিশ নিয়ে শনিবার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রশিদ, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আ.ফ.ম নিজাম উদ্দিন, হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত(ওসি) কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবুল কালাম চরাঞ্চলে অবস্থান করছেন।

এদিকে রোববার রাতে জেলা প্রশাসক সিরাজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ হাযারী গত কয়েক দিনে হাতিয়ার চরাঞ্চলে হতাহতের বিষয়ে মিডিয়া পরিবেশিত তথ্যের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেন।



জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় উল্লেখিত ঘটনাস্থ অত্যন্ত দুর্গম। তাই হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার ক্ষেত্রে সময় নিতে হয়েছে। কিন্তু চরের লোকজনের সাথে সরেজমিনে আলাপকালে তারা হত্যা, ধর্ষণ বা অপহরণের বিষয়ে কেউই নিশ্চিত করে কোন তথ্য দিওেত পারেনি।
পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযান প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার হারুনুর রশীদ হাযারী বলেন, চরকে অশান্ত করে যেসব দস্যু বাহিনী মানুষের মাঝে আতংক সৃষ্টি করছে তারা স্বমূলে উচ্ছেদ না হওয়া আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ৭ জনের নাম পরিচয় উল্লেখ করে শনিবার হাতিয়া থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখছি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রশিদ জানান, মূলত: চরের বিস্তীর্ণ ফসলী জমির দখল নিয়ে নানা রকম বাহিনীর জম্ম। দুর্গম চরাঞ্চলে মাঝেমধ্যে এসব বাহিনী নিজেদের মধ্যে মারামারিতে লিপ্ত হয়ে থাকে। তবে এ পর্যন্ত বড় ধরণের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা তথ্য পায়নি।




নাজিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি  দস্যুদের হামলায় নিহত দাবি করে ৭ জনের নাম পরিচয় উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটিতে বনদস্যু নাসির কমান্ডার, বোরহান সিকদার, বুলুমাঝি ও খলিল কমান্ডার সহ ১০৮ জনকে আসামী করা হয়েছে।


স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, গত মঙ্গলবার হাতিয়ার চর বাশার, চর জাহাজিয়া, চর নঙ্গলিয়া, নলেরচর ও কেরিংচরে বনদস্যু নাসির কমাণ্ডারের সাথে মিয়া সিকদার বাহিনী, মুন্সিয়া বাহিনী ও গিয়াস বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে মিয়া সিকদার বাহিনী, মুন্সিয়া বাহিনী ও গিয়াস বাহিনী পরাস্থ হয়ে চর থেকে সরে পড়ে। তখন থেকে নাসির বাহিনী চরের নিয়ন্ত্রন নিয়ে সেখানে হত্যা, অপহরণ, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

লোকসংবাদ | Loksangbad | The First Bangla Online Newspaper from Noakhali সাজসজ্জা করেছেন মুকুল | কপিরাইট © ২০২০ | লোকসংবাদ | ব্লগার

Bim থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.