নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চরক্লার্ক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও ধর্ষণের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত বখাটেদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করে। এসময় ক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা ওই ঘটনায় জড়িত বখাটেদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
নবম শ্রেনীর ছাত্র নুর উদ্দিন জানান, চর আলাউদ্দিন গ্রামের বখাটে মিয়া মাঝি (৩৮) ও নাছির মাঝি (৪০) এর বখাটেপনার কারণে ওই ছাত্রী (১৪) স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এর পরও রক্ষা পায়নি সে। শেষে বাড়িতে গিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে তাঁর সম্ভ্রম কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায় ওই বখাটেরা। নুরউদ্দিনের মতে-এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হলে এই ধরণের ঘটনা আরো ঘটতে থাকবে।
বিদ্যালয়ের জৈষ্ঠ্য শিক্ষক মোঃ ছানাউল্ল¬া জানান, ওইছাত্রীকে প্রায়ই মিয়া মাঝি ও নাছির মাঝি স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে বিভিন্ন কথা বলে উত্ত্যক্ত করত। কিন্তু সে বিষয়টি আগে কখনো তাঁদের জানায়নি। না জানিয়েই গত প্রায় তিনমাস ধরে মেয়েটি স্কুলে আসছেনা। গত ২৫ অক্টোবর তাঁর মাকে নিয়ে স্কুলে এসে ওই ঘটনা জানায়।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম চৌধুরী জানান, উত্ত্যক্ত ও সম্ভ্রমহানির চেষ্টার যে মামলা ছাত্রী বাদি হয়ে করেছে তা তিনি নিজেই তদন্ত করছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য; চরক্লার্ক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১৪) মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরআলাউদ্দিন গ্রামের বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই একই গ্রামের মিয়া মাঝি ও নাছির মাঝি নামে দুই বখাটে উত্ত্যক্ত করত। এর পর গত প্রায় তিনমাস ধরে ওইছাত্রী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। গত ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওই দুই বখাটে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ওইছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে সম্ভ্রমহানির চেষ্টা চালায়। এসময় কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পায় ওইছাত্রী। পরে ২৬ অক্টোবর ওই ঘটনায় নিজেই বাদি হয়ে চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
- আবু নাছের মঞ্জু