সর্বশেষ

সত্তরের ভয়াল ১২ নভেম্বরের স্মৃতি আজো তাড়িয়ে বেড়ায়।। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু ঝুঁকিতে নোয়াখালী উপকূলের তিন লাখ মানুষ

আবু নাছের মঞ্জু
আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের আজকের এইদিনে ভয়াল গোর্কিতে নোয়াখালী উপকূলে অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেদিনের সেই ভয়াল স্মৃতি আজো এ অঞ্চলের মানুষদের তাড়িয়ে বেড়ায়। নোয়াখালী উপকূলে গত এক দশকে অন্তত ৭০ হাজার একর বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বেড়েই চলছে।

জেলার হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন দ্বীপ ও দুর্গম চরে তিন লক্ষাধিক মানুষ নড়বড়ে ঝুপড়ি ঘরে চরম প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঝুঁকিতে রয়েছে। মাত্র কিছুদিন আগেও ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে এসব দ্বীপ ও চরের ৩০ জন মানুষের প্রানহানি ঘটেছিল।
বনবিভাগ জানায়, সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে জানমাল রক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৬৭-৬৮ অর্থবছর থেকে নোয়াখালী উপকূলে ১ লাখ ৪৫ হাজার একর জমিতে ম্যানগ্রোভ বনায়ন শুরু হয়েছিলো। এরপর বিভিন্ন সময় ৩৫ হাজার একর বনভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। অবশিষ্ট বনভূমির মধ্যে ৭০ হাজরেরও বেশি বনভূমি উজাড় হয়ে গেছে। অবশিষ্ট আছে জাতীয় উদ্যান নিঝুম দ্বীপসহ সর্বোচ্চ ৪০ হাজার একর বনভূমি।

নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে এই বনকাটা শুরু হয়ে তা চলে ২০০৩ সাল পর্যন্ত। বনসমৃদ্ধ নোয়াখালী উপক’লে বিভিন্ন বনদস্যু বাহিনী তাদের আস্তানা গাড়ে তোলে। দস্যুরা বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের বন উজাড় করে ভূমিহীন, শহরের বিত্তশালী ও স্থানীয় জোরদারদের কাছে তা বিক্রি করতে থাকে। এভাবে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় উপকূলীয় বনভূমি।


  • আবু নাছের মঞ্জু

লোকসংবাদ | Loksangbad | The First Bangla Online Newspaper from Noakhali সাজসজ্জা করেছেন মুকুল | কপিরাইট © ২০২০ | লোকসংবাদ | ব্লগার

Bim থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.