এ ঘটনায় প্রায় তিন ঘন্টা নোয়াখালী-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে লাকসাম থেকে রিলিফ ইঞ্জিন এসে ক্ষতিগ্রস্থ ইঞ্জিনসহ ট্রেনটি লাকসাম নিয়ে গেলে দুপুর ১২টার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সকাল ৯টায় নোয়াখালীর সোনাপুর স্টেশন থেকে যাত্রীবাহী সমতট এক্সপ্রেসটি আখাউড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি মাইজদী কোর্ট রেলওয়ে ষ্টেশন ও চৌমুহনী রেল স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানীয় আটিয়া বাড়ির ব্রিজের নিকট পৌঁছলে রেল লাইনের পার্শ্বে ঠিকাদারের গাছ কাটার সময় কয়েকটি গাছ স্বজোরে ট্রেনটির সামনের ইঞ্জিন ও বগির উপর পড়লে ট্রেনটি মুখ থুবড়ে লাইনচ্যুত হয়ে পাশে হেলে যাওয়ায় ট্রেনের ইঞ্জিন ও ২টি বগি ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ২ শতাধিক যাত্রী প্রাণে রক্ষা পায়।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিয়ম অনুযায়ী যে কোন সময় রেল বা সড়ক পথের পাশে গাছ কাটা বা অন্য কোন কাজ করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগাম অবহিত করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বন বিভাগের ঠিকাদার তা করেনি। ঘটনাস্থলে ট্রেনের চালক কাজী মারুফুজ্জামান জানান, আমাকে পূর্বে অবহিত না করায় এ দূর্ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে চৌমুহনী রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার ফখরুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি দূর্ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানায়।
- আবু নাছের মঞ্জু