জেলা শহরের প্রাইম হসপিটালে চিকিৎসাধীন এক রোগীনির নবজাতক শিশুর দেহে প্রয়োগের সময় পপুলার ইনফিউশনস কোম্পানীর পেডিসল ডিএস স্যালাইনে শ্যাওলা ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাতে এই ঘটনাটি ঘটার পর আজ সোমবার সন্ধ্যায় শ্যাওলাযুক্ত ওই স্যালাইন নিয়ে এসে রোগীর আত্মীয়-স্বজন সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন।
রোগীনির স্বামী মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করেন, গত শনিবার রাতে তাঁর স্ত্রী সানজিদা শান্তা (২৬) ওই হাসপাতালে ৫০৮ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। রোববার রাতে তার নবজাতক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ মতে রাত বারটার দিকে শিশুটিকে পপুলার ইনফিউশনস কোম্পানীর পেডিসল ডিএস ২০০মিলি স্যালাইন দেওয়া হয়। রাত দুইটার দিকে তিনি স্যালাইনের ভেতরে শ্যাওলা দেখতে পান। তাৎক্ষনিক তিনি বিষয়টি কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সকে জানানোর পর তাঁরা স্যালাইনটি খুলে তড়িঘড়ি করে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। এসময় তিনি স্যালাইনটি তার হস্তগত করেন।
রোগীর চাচা একুশে টেলিভিশনর নোয়াখালী প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান শামীম জানান, এই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যাবস্থা না নেওয়ায় তাঁরা বাধ্য হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন।
এদিকে, শ্যাওলা যুক্ত স্যালাইনটি প্যাকেট পরীক্ষা করে দেখা যায় স্যালাইনটি গত অক্টোবর মাসে তৈরী। এটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে।
পপুলার ইনপিউশন কোম্পানীর সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার আবু সালেহ তার কোম্পানীর স্যালাইনের ভেতর শ্যাওলা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে জানান।
হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ মাহবুবুর রহমানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় অসংখ্যবার তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যান্ডফোনে ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি।
#
- আবু নাছের মঞ্জু