লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের সমর্থদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ।এলাকাবাসী সৃত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন গতকার রবিবার রাতে হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা ছানা উল্লাহ মিয়া তার সমর্থদের নিয়ে উঠান বৈঠক শুরু করলে। এ সময় অপর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর শাহআলমসহ তার সমর্থকরা উঠান বৈঠকে হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে কমপক্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়।
আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ও রামগঞ্জ বিভিন্ন হাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। । এসময় ৩ রাউন্ড পাকাঁ গুলি ছোঁড়া হয় । প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সৃত্রে জানা যায়, পুর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের মাইজের বাড়ীতে ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ছানা উল্লাহ মিয়ার উঠান বৈঠকে হঠাৎ মীর শাহআলম ও তার সমর্থকরা হামলা করে এবং কিসের মিটিং হ্েচ্ছ বলে মীর শাহ আলমের হাতে থাকা পিস্তল থেকে ৩ রাউন্ড পাকাঁ গুলি ছোঁড়ে । এসময় এলাকার লোকজন আতংকিত হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে এবং ছানা উল্লার সমর্থকরা হামলা কারীদের ধাওয়া করলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে হামছাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক আরীফ, কামাল, রন্জু ,শওকত, মোবারক, মীর শাহআলম ,নুর নবী মাষ্টার সহ ১০জন আহত হয় ।
এ ব্যাপারে মীর শাহআলম অপর প্রতিদন্ধী প্রার্থী ছানা উল্লার উঠান বৈঠকে হামলা ও পাকাঁ গুলি ছোঁড়ার কথা অস্বীকার করে বলেন ছানা উল্লাহর সমর্থকরা তার উপর অতর্কিত হামলা করে ।
সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম ছারোয়ার ,সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মারামারি হয়েছে, পাকাঁ গুলি ছোঁড়া হয়েছে কিনা তা জানা নেই, এঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। গুলি ছোঁড়ার ব্যাপারে নির্ভর যোগ্য তথ্য আমরা পাইনি
- রবিউল ইসলাম খান