লোকসংবাদ প্রতিবেদন
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মো. জসিম উদ্দিন (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের পশ্চিম চরজব্বর এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। রাতেই তাকে আহত অবস্থায় জেলা শহর মাইজদীতে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে সে মারা যায়। এ সময় সুমন (১৯) নামে তাঁর এক বন্ধু আহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে চরজব্বার থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত মো. জসিম উদ্দিন ওই গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের নজির আলীর বাড়ির ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে। সে একজন দিনমজুর ছিল।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নূর আলমের মেয়ে রুনু বেগমের সাথে কয়েক বছর আগে একই ইউনিয়নের পশ্চিম চরজব্বর গ্রামের নূরুল হকের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নূরুল হক বিভিন্ন কারণে রুনুকে মারধর ও নির্যাতন করত। এর সূত্র ধরে গত কয়েকদিন আগে রুনু তার স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ীতে চলে আসে। পরবর্তীতে নূরুল হক শ্বশুর বাড়িতে এসে রুনুকে ঘরে তুলে নিতে কয়েক দফায় চেষ্টা করলে রুনুর ছোট ভাই মোঃ ইস্রাফিল ওরফে সুমন বাঁধা দেয়। এতে রেনুর স্বামী নূরুল হক শ্যালক সুমনের ওপর ক্ষুব্ধ হন।
সোমবার সুমন ও তার বন্ধু জসিম উদ্দিন স্থানীয় পাঙ্খার বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় মাহমুদিয়া মাদ্রাসা নামক স্থানে যাওয়া মাত্র অন্ধকারে নূরুল হক ও তার চাচা আবুল হোসেন তাদের পথ রোধ করে। এক পর্যায়ে অন্ধকারে সুমন ভেবে তার বন্ধু জসিম উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে নূরুল হক। এতে সুমন চিৎকার দিলে আশপাশ থেকে লোকজন আসলে নূরুল হক ও আবুল হোসেন পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় জসিমকে প্রথমে চরজব্বর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে জেলা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে জসিম উদ্দিন মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং গতকাল মঙ্গলবার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল কবির হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফয়েজ আহাম্মদ বাদী হয়ে নূরুল হক ও তার চাচা আবুল হোসেনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলেও তিনি জানান।
#
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মো. জসিম উদ্দিন (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের পশ্চিম চরজব্বর এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। রাতেই তাকে আহত অবস্থায় জেলা শহর মাইজদীতে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে সে মারা যায়। এ সময় সুমন (১৯) নামে তাঁর এক বন্ধু আহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে চরজব্বার থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত মো. জসিম উদ্দিন ওই গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের নজির আলীর বাড়ির ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে। সে একজন দিনমজুর ছিল।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নূর আলমের মেয়ে রুনু বেগমের সাথে কয়েক বছর আগে একই ইউনিয়নের পশ্চিম চরজব্বর গ্রামের নূরুল হকের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নূরুল হক বিভিন্ন কারণে রুনুকে মারধর ও নির্যাতন করত। এর সূত্র ধরে গত কয়েকদিন আগে রুনু তার স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ীতে চলে আসে। পরবর্তীতে নূরুল হক শ্বশুর বাড়িতে এসে রুনুকে ঘরে তুলে নিতে কয়েক দফায় চেষ্টা করলে রুনুর ছোট ভাই মোঃ ইস্রাফিল ওরফে সুমন বাঁধা দেয়। এতে রেনুর স্বামী নূরুল হক শ্যালক সুমনের ওপর ক্ষুব্ধ হন।
সোমবার সুমন ও তার বন্ধু জসিম উদ্দিন স্থানীয় পাঙ্খার বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় মাহমুদিয়া মাদ্রাসা নামক স্থানে যাওয়া মাত্র অন্ধকারে নূরুল হক ও তার চাচা আবুল হোসেন তাদের পথ রোধ করে। এক পর্যায়ে অন্ধকারে সুমন ভেবে তার বন্ধু জসিম উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে নূরুল হক। এতে সুমন চিৎকার দিলে আশপাশ থেকে লোকজন আসলে নূরুল হক ও আবুল হোসেন পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় জসিমকে প্রথমে চরজব্বর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে জেলা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে জসিম উদ্দিন মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং গতকাল মঙ্গলবার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল কবির হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফয়েজ আহাম্মদ বাদী হয়ে নূরুল হক ও তার চাচা আবুল হোসেনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলেও তিনি জানান।
#
- আবু নাছের মঞ্জু