লোকসংবাদ প্রতিবেদন:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আল-ইত্তেহাদ মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেড নামে একটি অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারনা ও অনিয়মের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে দেড়শ কোটির টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শাহেদ কামাল সুজন আত্মগোপনে থাকলেও গ্রহকরা আফিসে টাকা ফেরত চাইতে গেলে ভাড়াটে লোক দিয়ে তাদেরকে নাজেহাল করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধনদানকারী সমবায় অধিদপ্তর এ সব অনিয়মের বিষয়ে তদন্তে নেমেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আল-ইত্তেহাদ মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেড ২০১০ সালে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধন পেলেও এর আগে ২০০৬ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে দেয়। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শাহেদ কামাল সুজন নিয়ম বর্হিভুতভাবে সাধারণ মানুষকে লোভনীয় লভ্যাংশ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছ থেকে অন্তত দেড়শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। প্রথম প্রথম গ্রাহকদেরকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লভ্যাংশ দেয়া হলেও গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে গেলে শুরু হয় টালবাহানা। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের বড় অংকের আমানতী গ্রাহকের সংখ্যা ১৯১৭ জন। এছাড়া মাসিক আমানতীর সংখ্যা আরও প্রায় এক হাজার। শুধু আমনত নেয়া নয় সমবায়ের আইন কানুককে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ঋণ দেয়া ও সুদ আদায়সহ ব্যাংকিং কার্যক্রমও শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে প্রতিদিন আমানতের টাকা ফেরত পেতে শত শত গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের সামনে গড়াগড়ি করলেও চেয়ারম্যান ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। আর প্রতিষ্ঠানের সামনে নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী। সময় মতো আমানতের টাকা না ফেরত না পাওয়ায় অনেকের মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে গেছে, বহু বেকার যুবকের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বিদেশ যাওয়া হয়নি, অনেকে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরছেন।
গ্রাহকদের অভিযোগ, মাল্টিপারপাসের চেয়ারম্যান শাহেদ কামাল সুজন সাধারণ গ্রাহকদের আমানতের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ারও পাঁয়তারা করছেন। সরেজমিনে আল-ইত্তেহাদ মাল্টিপারপাসের সামনে টাকার জন্য আর্তনাদ করতে দেখা যায় উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের মায়াধনী নামের এক গ্রাহককে। এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, পরিবারে উপার্জনক্ষম তেমন কোন ব্যক্তি না থাকায়, তালাকপ্রাপ্ত মেয়ের কাবিনের ও এক প্রতিবেশির টাকা মিলিয়ে ৫ লাখ টাকা এ প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখেন। প্রথম দিকে নিয়মিত লভ্যাংশ দিলেও গত এক বছর কোনো লভ্যাংশ দিচ্ছে না। এখন লভ্যাংশতো দূরের কথা আমানতের ফেরত নেয়ার জন্য দফায় দফায় প্রতিষ্ঠানে এসেও চেয়ারম্যান শাহেদ কামাল সুজনের দেখা পাচ্ছেন না। উল্টো কিছু বখাটে হুমকি ধমকি দেয়। শুধু মায়াধনী নয়- হোসনে আরা বেগম, পরিমল চন্দ্র দাস, দেলোয়ার হোসেন, নূর নবীসহ অসংখ্য গ্রাহকের সাথে। তাঁদের মতে এ প্রতিষ্ঠানে ৭ হাজার থেকে শুরু করে এক-দেড় কোটি টাকাও আমানত রেখেছেন কোন কোন গ্রাহক। বর্তমানে এসব গ্রাহকরা নিজেদের আমানতী টাকা পাওয়া নিয়েও শংকায় রয়েছেন।
গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া আমানতের টাকা দিয়ে মূল প্রতিষ্ঠান মাল্টিপারপাস ছাড়াও অংঙ্গ প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২০টিরও বেশি। যা আল-ইত্তেহাদ গ্রুপ হিসেবে চলছে। এসব অংঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স কোম্পানীর শোরুম, হাসপাতাল, কিন্ডার গার্ডেন, ছাপাখানা, রিয়েল এস্টেট, জুয়েলারী দোকান ও পরিবহণ ব্যবসা। আমানতী গ্রাহকরা এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় না রেখে একক মালিকানা শাহেদ কামাল সুজনের নামে।
সম্প্রতি একজন গ্রাহক দুর্নীতি দমন কমিশনে এসব অনিময় দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে কতজন গ্রাহক থেকে কত টাকা করে নেয়া হয়েছে তার একটি লম্বা ফিরিস্তি ও সুজনের নামে কি কি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং তার আর্থিক মূল্য কত টাকা হবে সেটিও ফিরিস্তি দেওয়া হয়। এসবগুলোর একটি কপি জেলা সমবায় অধিদপ্তরেও প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যপারে জেলা সমবায় অফিসার দুলাল মিয়া বলেন, সমবায় অধিদপ্তর থেকে রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে আর্থিক লেনদেন বা ব্যাংকিং কার্যক্রম করার বৈধতা নেই। আল-ইত্তেহাদ মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন ও গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আসার পরই দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি কাজ করেছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে আল-ইত্তেহাদ মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেডের কার্যালয়ে গেলে শাহেদ কামাল সুজনকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তিনি আইন বহির্ভুতভাবে আমানত গ্রহণ, অংগপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বত্বমূল প্রতিষ্ঠান মাল্টিপারপাসের নামে না করাসহ কিছু অভিযোগ স্বীকার করলেও আত্মগোপন বা টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেননি।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আল-ইত্তেহাদ মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেড নামে একটি অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারনা ও অনিয়মের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে দেড়শ কোটির টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শাহেদ কামাল সুজন আত্মগোপনে থাকলেও গ্রহকরা আফিসে টাকা ফেরত চাইতে গেলে ভাড়াটে লোক দিয়ে তাদেরকে নাজেহাল করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধনদানকারী সমবায় অধিদপ্তর এ সব অনিয়মের বিষয়ে তদন্তে নেমেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আল-ইত্তেহাদ মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেড ২০১০ সালে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধন পেলেও এর আগে ২০০৬ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে দেয়। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শাহেদ কামাল সুজন নিয়ম বর্হিভুতভাবে সাধারণ মানুষকে লোভনীয় লভ্যাংশ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছ থেকে অন্তত দেড়শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। প্রথম প্রথম গ্রাহকদেরকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লভ্যাংশ দেয়া হলেও গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে গেলে শুরু হয় টালবাহানা। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের বড় অংকের আমানতী গ্রাহকের সংখ্যা ১৯১৭ জন। এছাড়া মাসিক আমানতীর সংখ্যা আরও প্রায় এক হাজার। শুধু আমনত নেয়া নয় সমবায়ের আইন কানুককে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ঋণ দেয়া ও সুদ আদায়সহ ব্যাংকিং কার্যক্রমও শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে প্রতিদিন আমানতের টাকা ফেরত পেতে শত শত গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের সামনে গড়াগড়ি করলেও চেয়ারম্যান ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। আর প্রতিষ্ঠানের সামনে নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী। সময় মতো আমানতের টাকা না ফেরত না পাওয়ায় অনেকের মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে গেছে, বহু বেকার যুবকের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বিদেশ যাওয়া হয়নি, অনেকে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরছেন।
গ্রাহকদের অভিযোগ, মাল্টিপারপাসের চেয়ারম্যান শাহেদ কামাল সুজন সাধারণ গ্রাহকদের আমানতের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ারও পাঁয়তারা করছেন। সরেজমিনে আল-ইত্তেহাদ মাল্টিপারপাসের সামনে টাকার জন্য আর্তনাদ করতে দেখা যায় উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের মায়াধনী নামের এক গ্রাহককে। এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, পরিবারে উপার্জনক্ষম তেমন কোন ব্যক্তি না থাকায়, তালাকপ্রাপ্ত মেয়ের কাবিনের ও এক প্রতিবেশির টাকা মিলিয়ে ৫ লাখ টাকা এ প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখেন। প্রথম দিকে নিয়মিত লভ্যাংশ দিলেও গত এক বছর কোনো লভ্যাংশ দিচ্ছে না। এখন লভ্যাংশতো দূরের কথা আমানতের ফেরত নেয়ার জন্য দফায় দফায় প্রতিষ্ঠানে এসেও চেয়ারম্যান শাহেদ কামাল সুজনের দেখা পাচ্ছেন না। উল্টো কিছু বখাটে হুমকি ধমকি দেয়। শুধু মায়াধনী নয়- হোসনে আরা বেগম, পরিমল চন্দ্র দাস, দেলোয়ার হোসেন, নূর নবীসহ অসংখ্য গ্রাহকের সাথে। তাঁদের মতে এ প্রতিষ্ঠানে ৭ হাজার থেকে শুরু করে এক-দেড় কোটি টাকাও আমানত রেখেছেন কোন কোন গ্রাহক। বর্তমানে এসব গ্রাহকরা নিজেদের আমানতী টাকা পাওয়া নিয়েও শংকায় রয়েছেন।
গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া আমানতের টাকা দিয়ে মূল প্রতিষ্ঠান মাল্টিপারপাস ছাড়াও অংঙ্গ প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২০টিরও বেশি। যা আল-ইত্তেহাদ গ্রুপ হিসেবে চলছে। এসব অংঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স কোম্পানীর শোরুম, হাসপাতাল, কিন্ডার গার্ডেন, ছাপাখানা, রিয়েল এস্টেট, জুয়েলারী দোকান ও পরিবহণ ব্যবসা। আমানতী গ্রাহকরা এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় না রেখে একক মালিকানা শাহেদ কামাল সুজনের নামে।
সম্প্রতি একজন গ্রাহক দুর্নীতি দমন কমিশনে এসব অনিময় দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে কতজন গ্রাহক থেকে কত টাকা করে নেয়া হয়েছে তার একটি লম্বা ফিরিস্তি ও সুজনের নামে কি কি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং তার আর্থিক মূল্য কত টাকা হবে সেটিও ফিরিস্তি দেওয়া হয়। এসবগুলোর একটি কপি জেলা সমবায় অধিদপ্তরেও প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যপারে জেলা সমবায় অফিসার দুলাল মিয়া বলেন, সমবায় অধিদপ্তর থেকে রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে আর্থিক লেনদেন বা ব্যাংকিং কার্যক্রম করার বৈধতা নেই। আল-ইত্তেহাদ মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন ও গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আসার পরই দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি কাজ করেছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে আল-ইত্তেহাদ মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেডের কার্যালয়ে গেলে শাহেদ কামাল সুজনকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তিনি আইন বহির্ভুতভাবে আমানত গ্রহণ, অংগপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বত্বমূল প্রতিষ্ঠান মাল্টিপারপাসের নামে না করাসহ কিছু অভিযোগ স্বীকার করলেও আত্মগোপন বা টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেননি।