পারিবারিক সূত্র থেকে জানাযায়, রোজিনা আক্তার ১ সন্তানের জননী। নয় মাস বয়সের তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার নাম প্রনন্ত। বিয়ের সময় পিতার আবদুস ছাত্তার ৪০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে ৭নং ওয়ার্ড হাজা পাড়া আলী রাজের বাড়ীর তাজুল ইসলামের ছেলে জাকির হোসেন নান্টুর কাছে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে নান্টু রোজিনাকে পিতার বাড়ী থেকে টাকা দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। ওই টাকা দিয়ে সে বিদেশ যাবে। রোজিনার গরীব পিতা টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় জাকির হোসেন নান্টু তাকে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে রোজিনা মারা যায়। একরাত একদিন রোজিনা লাশ স্বামীর ঘরে পড়ে থাকে। তার লাশ গুম করার জন্য বার বার প্রদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। লাশ গুম করতে না পারায় নান্টুর পরিবারের সবাই লাশ ঘরে রেখে পালিয়ে গেছে।
পুলিশ সংবাদ পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেলে শত শত লোক থানায় গিয়ে ভিড জমায় রোজিনার লাশকে এক নজর দেখার জন্য। থানার বারান্দায় রোজিনার স্বজনের আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। রোববার সকালে জেলা মর্গে ময়না তদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
- মোঃ শরফুদ্দিন শাহীন, কোম্পানীগঞ্জ