জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি) এটিএম মহিব উল্যা জানান, ঐ চিঠির প্রেরকের স্থানে উল্লেখিত বোরহান নামে নোয়াখালীতে কোন আইনজীবী নেই।
তবে জেলা জজ আদালতের এপিপি’র নাম বোরহান আহমেদ মোহন। আর এই বোরহান আহমেদ একই সাথে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সমাজ কল্যান সম্পাদক এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রযেছেন। পিপি মহিব উল্যার মতে, মোহন সদর উপজেলার কালিতারা এলাকার সম্ভ্রান্ত আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে এবং তিনি (মোহন) নিজেও আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে এ ধরনের চিঠির সাথে তাঁর সংশ্লিষ্টতা থাকার প্রশ্নই আসেনা। তবে উদ্দেশ্য মূলকভাবে জঙ্গিরা এমনটি করতে পারে বলে তাঁর ধারনা। একই বক্তব্য জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবিএম জাকারিয়া ও সাবেক সাধারন সম্পাদক মোল্লা হাবিবুর রাছুর মামুনসহ সিনিয়র আইনজীবীদের।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, সুবর্নচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বোরহান নামে নোয়াখালী জজ আদালতের এক আইনজীবীর ঠিকানা ব্যবহার করে চিঠি দিয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সিনিয়র আইনজীবী আনিসুল হক সহ ৫ জনকে হত্যার হুমকির ঘটনায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন।
এদিকে জেলা জজ আদালতের এপিপি বোরহান আহমেদ মোহন আইন জানান, প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সিনিয়র আইনজীবী আনিসুল হক সহ ৫ জনকে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি প্রেরনের সাথে তিনি কোনভাবেই জড়িত। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশের পর থেকে এনিয়ে আমি নিজে এবং আমার সহকর্মীরাও বিব্ররতকর পরিস্থিতির মধ্যে আছি।
প্রসঙ্গত: গত রবিবার ঢাকা কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ঠিকানায় পাঠানো এক চিঠিতে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় প্রদানকারী বিচারক ঢাকার সাবেক জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসূল, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আনিসুল হক এবং ন্যূনতম মজুরী বোর্ডের চেযারম্যান অমর কৃষ্ণ রায়কে হত্যার হুমকির দেয়া হয়েছিল। ঐ চিঠিতে হুমকিদাতা হিসেবে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আর কায়েদা, পাকিস্তান ভিত্তিক জইশ-মোহাম্মদ, লস্কর-ই তৈয়বা, বাংলাদেশ ভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি) ও জামা’আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের নাম লেখা ছিল।
পুরোনো ঢাকার আালত পাড়ায় ঢাকা কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদকের ঠিকানায় পাঠানো এক চিঠিতে প্রেরকের স্থানে লেখা ছিল- নোয়াখালী জজ আদালতের আইনজীবী বোরহান।
#
- আবু নাছের মঞ্জু