নোয়াখালীতে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হযেছে। আহতদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র হারুনুর রশীদ আজাদ ও পুলিশের এক কনস্টেবল রয়েছেন। এ সময় বিএনপি কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ, দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও বেশকিছু যানবাহণ ভাংচুর করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ শর্টগান থেকে অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলি ও ১৬ টি টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল ৫টার দিকে জেলা শহরের পৌর বাজারের সামনে থেকে বিএনপিরকেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রধান সড়কে মিছিল বের করে।
মিছিলটি জেলা জামে মসজিদের সামনে আসলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ বিএনপি কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ, ১৫টির মতো যানবাহণ ভাংচুর ও ২টি বাসে অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে ছাত্র ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের সাথে যোগ দিয়ে বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া করে।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান অভিযোগ করেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে লালিপেটা, গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকপৌর মেয়র হারুনুর রশীদ আজাদ, যুবদল নেতা ভিপি জসিম উদ্দন,জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম কালাসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদেরনোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত(ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানিয়েছেন, বিএনপি কর্মীরা মিছিলথেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং যানবাহণ ভাংচুর ও আগুণ দিয়ে শহরে আতংক ছড়ায়।
একই সময় বাণিজ্যিক শহর চ্যেমুহনীতে খেলাফত মজলিসের সাথে আওয়ামীলীগ কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইসলামী ব্যাংকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষের মাথায় ইটের টুকরা পড়ে বেগমগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ আহসানুল ইসলাম আহত হন।
- আবু নাছের মঞ্জু