লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষীপুরে পৃথক ঘটনায় এক গৃহবধূ ও এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে আটক হয়েছে। নিহতরা হলেন- উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে সেলিনা আক্তার (২০) ও উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মাকছুদুর রহমান (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রাম থেকে শুক্রবার সকালে সেলিনা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গত মাস থেকে সেলিনা ও জাহাঙ্গীর চাঁদখালী গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তাদের দু’জনের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। বৃহস্পতিবার রাতে দু’জনের মধ্যে ব্যাপক ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হয়। সকালে বাড়ির লোকজন চেয়ারে বসানো এবং গামছার সাহায্যে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহত সেলিনার বাবা সিরাজ মিয়া জানান, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম তার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। প্রায় ৭ মাস আগে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আবদুল মালেকের ছেলে জাহাঙ্গীর তার মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে মো. মাকছুদুর রহমান (২৫) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার ভাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের হোগল ডুহরী গ্রাম থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত মাকছুদ বেশিরভাগ সময় শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। বুধবার পারিবারিক বিরোধের জেরে তার সঙ্গে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তারা মাকছুদকে মারধর করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় তার শ্বশুরের ঘরের পাশের একটি ছোট আম গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ২টার দিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। মাকছুদ পেশায় জেনারেটর মিস্ত্রী ছিলেন।
মাকছুদের বাবা নুর মোহাম্মদ জানান, মাকছুদের সঙ্গে তার সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। ঘটনার আলামত দেখে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছেন তিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, পৃথক ঘটনায় মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্ততি চলছে।
লক্ষীপুরে পৃথক ঘটনায় এক গৃহবধূ ও এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে আটক হয়েছে। নিহতরা হলেন- উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে সেলিনা আক্তার (২০) ও উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মাকছুদুর রহমান (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রাম থেকে শুক্রবার সকালে সেলিনা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গত মাস থেকে সেলিনা ও জাহাঙ্গীর চাঁদখালী গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তাদের দু’জনের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। বৃহস্পতিবার রাতে দু’জনের মধ্যে ব্যাপক ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হয়। সকালে বাড়ির লোকজন চেয়ারে বসানো এবং গামছার সাহায্যে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহত সেলিনার বাবা সিরাজ মিয়া জানান, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম তার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। প্রায় ৭ মাস আগে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আবদুল মালেকের ছেলে জাহাঙ্গীর তার মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে মো. মাকছুদুর রহমান (২৫) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার ভাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের হোগল ডুহরী গ্রাম থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত মাকছুদ বেশিরভাগ সময় শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। বুধবার পারিবারিক বিরোধের জেরে তার সঙ্গে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তারা মাকছুদকে মারধর করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় তার শ্বশুরের ঘরের পাশের একটি ছোট আম গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ২টার দিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। মাকছুদ পেশায় জেনারেটর মিস্ত্রী ছিলেন।
মাকছুদের বাবা নুর মোহাম্মদ জানান, মাকছুদের সঙ্গে তার সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। ঘটনার আলামত দেখে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছেন তিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, পৃথক ঘটনায় মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্ততি চলছে।
- কবির হোসেন