লোকসংবাদ প্রতিবেদনঃ
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের এক নেতা নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে সুুপ্রম কোর্টের আপিল বিভাগে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখার প্রতিবাদে শহরের সিনেমা হল এলাকায় শিবির কর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহত ওমর ফারুক(১৮) সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের সিরাজউদ্দিনপুর গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে।
ছাত্র শিবিরের নোয়াখালী জেলা (উত্তর) সভাপতি মো. মায়াজ জানান-ওমর ফারুক শিবিরের নোয়াখালী শহর শাখার সাথী এবং কাদির হানিফ ইউনিয়ন শাখার উপ সভাপতি ছিলেন। মাইজদী পাবলিক কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বৃহত্তর নোয়াখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ছাত্রশিবির।
পুুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের রৌশন বাণী সিনেমা হল এলাকায় একদল শিবির কর্মী ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলকারীরা যানবাহন ভাংচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দেয়। এ সময় মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে টিল, ককটেল ও গুলি ছুঁড়লে জবাবে পুলিশ শর্টগান থেকে দুই রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে শিবিরের তিন কর্মীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে দুইজনকে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওমর ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন।
আটককৃত শিবিরের সাথী বরকত উল্লা রাকিবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাকিব মাইজদী বাজার এলাকার আবু তাহেরের ছেলে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, নিহত ওমর ফারুকের মাথা ও বুক সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে শর্টগানের গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত রাকিবের পিঠে শর্টগানের গুলি লেগেছে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, ঝটিকা মিছিল থেকে আটককৃত শিবির কর্মী মো. রাসেল(২০) বেগমগঞ্জ উপজেলার একাব্বতপুর গ্রামের নুরুল কাদেরের ছেলে।
নোয়াখালী জেলা (উত্তর) সভাপতি মো. মায়াজ অভিযোগ করেন-পুলিশ বিনা কারণে শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বৃহত্তর নোয়াখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।