অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ওপেনার যুব টাইগার পারভেজ হোসেন ইমন নিজ জেলা নোয়াখালীতে সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হলেন। রোববার বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে গর্ণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনায় ইমনের সহপাঠি, আত্মীয় স্বজন সহ দূর দূরান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক ক্রিকেটপ্রেমী অংশগ্রহণ করেন।
বিকাল সাড়ে তিনটায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। স্থানীয় তরুণ ও যুবকরা বিশাল মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাকে সংবর্ধনাস্থানে নিয়ে আসে। এ সময় সড়কের দুই পাশে উৎসুক জনতাকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সংবর্ধনাস্থল। পরে বিকাল ৪টার দিকে সংবর্ধনা মঞ্চে তাকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
এ সময় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠন লায়ন ইসমাইল ফিরোজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ছয়ানি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন জসিম, বিকেএসপির কোচ ইরফানুর জামান সোহাগ, অ্যাভোকেট রবিউল হাসন পলাশ, ইমনের বড় ভাই ফয়সল হোসেনসহ অনেকে। সংবর্ধনা আয়োজকরা জানান, ইমনকে সংবর্ধিত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাকে দেখে এরাকার যুব সমাজ যাতে অনুপ্রাণিত হয়।
সংবর্ধনার জবাবে যুব টাইগার ইমন বলেন, আপনারের এমন ভালোভাসা দেখে আমি মুদ্ধ। আমার গ্রামে আজেকে আমার সংবর্ধনায় এতো মানুষের উপস্থিতি আমাকে অবাক করে দিয়েছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যেন ফিউচারে আরো ভালো করতে পারি। পরে পারভেজ হোসেন ইমন সাংবাদিকদের জানান, ভবিষ্যতে নিজের পারফর্মেন্স ধরে রেখে জাতীয় দলে খেলতে চান তিনি। এদিকে যুব টাইগার ইমন আসছেন এই খবরে তাকে দেখতে সকাল থেকে তার বাড়িতে সহপাঠি, আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসীর ভিড় জমে। এ সময় ইমনের এমন সাফল্য এবং তার প্রতি এলাকাবাসীর ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে পড়েন তার মা, ভাই, বোন। সবার দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে ইমন ভবিষ্যতে দেশের জন্য আরো ভালো কিছু করতে পারবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ভবানী জীবনপুর গ্রামের আলী সওদাগর বাড়ির সিরাজ বাবুল ও কুসুম আক্তার ছেলে। দিন ভাই বোনের মধ্যে ইমন সবার ছোট।