এ্যানি অভাবের বিরুদ্ধে জয়লাভ করা এ কৃতী শিক্ষার্থী। পেটে দাউ দাউ ক্ষুধা, সামনে সংসারের সীমাহীন অভাব; কিন্তু চোখে তার বড় হওয়ার স্বপ্ন। স্বপ্নের পথের একটি সিঁড়ি অতিক্রম করল জিপিএ-৫ পাওয়া কোম্পানীগঞ্জের অসুস্থ পিতার সন্তান শাকিলা আক্তার এ্যানি। এই মেধাবীদের বাবা-মা সন্তানের ফলাফলে খুশি হলেও তাদের ভবিষ্যতের লেখাপড়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। এ পর্যন্ত পড়া-লেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সহযাগিতা করেছে ডেসটিনির নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ শরফুদ্দিন শাহীন এর পরিবার। বর্তমানে সে কলেজে ভর্তি ও লেখা পড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা চাচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের অসুস্থ সিরাজুল ইসলামের সন্তান শাকিলা আক্তার এ্যানি এ বছর এস.এস.সি পরীক্ষায় পেশকারহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। অভাবের সংসার। অসুস্থ বাবার মাধ্যমে কোন মতে চলে ৬জনের অভাবী সংসার। অভাবের সংসারে কোনদিন না খেয়েই স্কুলে যেতে হয়েছে। সে ভবিষ্যতে কি হতে চায় এমন প্রশ্নের জবাবে সে অনেকক্ষণ সময় নিয়ে জানায়, ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নের কথা। সে জানে অভাবী সংসারে আর কি চাওয়ার আছে। তবে স্কুলের শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সার্বিক সহযোগিতায় সে ভাল রেজাল্ট করেছে বলে জানায়।
- মোঃ শরফুদ্দিন শাহীন