উদ্ভুত পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন শুক্রবার বিকাল তিনটা থেকে শনিবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত সোনাইমুড়ি বাইপাস, ছাতারপাইয়া চৌরাস্তা এবং সোনইমুড়ি মডেল স্কুল শহীদ মিনারসহ তৎসংল্গন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোনাইমুড়ী স্ট্যান্ডের ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সসা চালকদের সাথে দৈনিক চাঁদার টাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাইনম্যান স্বপনের বাকবিতন্ডা হয়। যার সুত্র ধরে রাতে সোনাইমুড়ী গ্রামের সোহেল নাওতোলা গ্রামের ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সসা চালক ফিরোজকে মারধর করে। এনিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে সোনাইমুড়ী ও নাওতোলা গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত দশটার পর থেকে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে উভয় গ্রামের লোকজন সংগঠিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দুই গ্রামের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে তৈয়ব আলী(২৮), সুমন(২০), সুজন(২২), মাছুম(১৮), দেলোয়ার(২৬), আজিম(২০), মিন্টু(৪০), লিটন(৩০), মানিক(৩০), জুয়েল(২৫), মানিক(২৭), রিপন(১৭), লিটন(২৪), রফিক(৫০), জালাল(৪৫) ও সুমনকে(২০) উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে জেলা সদর থেকে দাঙ্গা পুলিশ ও সোনাইমুড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনতে সক্ষম হয়।
রাতে উভয় গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংগঠিত হয়ে শুক্রবার সকাল থেকে আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে দুই গ্রামের তিনটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সভয় পক্ষের অন্তত দশজন আহত হয়। একই সময় দুই গ্রামের অন্তত ১০টি দোকানে ভাংচুর-লুটপাট এবং বেশকিছু অটোটেম্পু, সিএনজি চালিত অটোরিক্সশা ও ইজিবাইক ভাংচুর করা হয়। এ সময় নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়কে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে দুপুরের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনে।
সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা বেগম বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সোনাইমুড়ি বাইপাস, ছাতারপাইয়া চৌরাস্তা এবং সোনইমুড়ি মডেল স্কুল শহীদ মিনারসহ তৎসংল্গন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল তিনটা থেকে শনিবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত সব এ আদেশ কার্যকর করা হবে। তবে এলাকা সমূহে স্বাধীনতা দিবসের কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবেনা।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনাস্থল সহ আশপাশের এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় দোকানে হামলার ঘটনায় দুইজন দোকানী বাদী হয়ে থানায় পৃথক দুইটি মামলার দায়ের করেন। ঘটনার সাথে জড়িত আবুল কাশেম ও লোকমান হোসেন নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
- আবু নাছের মঞ্জু