বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্মহাসচিব ও জেলা শাখার সভাপতি মো. শাহজাহানের বাসায় আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিগুলো হচ্ছে: স্থগিত কেন্দ্রগুলোতে নতুন করে ভোট গ্রহনের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যেকোন একজন কর্মকর্তাকে রির্টানিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া, বিগত নির্বাচনে ব্যবহৃত রংয়ের পরিবর্তে নতুন রংয়ের ব্যলট পেপারের ব্যবস্থা করা,
ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি অন্য জেলা থেকে প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিযুক্ত করা, প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন করে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া, প্রত্যেক কেন্দ্রে দাুিয়ত্বশীল কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভোট গননার পর ফলাফর ঘোষনা করা, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও হয়রানী না করা এবং ভোটকেন্দ্র এলাকায় বহিরাগতদের গ্রেপ্তার করা।
নোয়াখালী পৌরসভায় গত ১৮ জানুয়ারি নির্বাচন চলাকালে ব্যালট ছিনতাই ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের মারধরসহ বিভিন্ন অনিয়ম-সহিংসতার অভিযোগে ২৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৭টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহন স্থগিত করা হয়েছিল। এসব ঘটনায় তদন্তের পর নির্বাচন কমিশন পৌরসভার ১১ কেন্দ্রের ফলাফল রেখে বাকি ১৪টি কেন্দ্রে আগামী ১৬ এপ্রিল পুনরায় ভোটগ্রহনের তারিখ ঘোষনা করে।
ওই ঘোষনার প্রেক্ষিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নোয়াখালী পৌরসভায় বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মো. হারুরুর রশিদ আজাদ বলেন, ‘নির্বাচনের দিন সকালে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহন শুরু হলেও সকাল ৯টা থেকে আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী গোলাম মহিউদ্দিন লাতুর সমর্থিত ছাত্র ও যুবলীগের ক্যাডারা আমার পোলিং এজন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এরপর তারা ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে লাতুর আনারস প্রতীকে সীল মেরে কক্সে ডুকিয়ে রাখে। এসব অনিয়মের বিষয়ে লিখিতবাবে রির্টানিং অফিসারকে জানিয়ে সকাল ১০টায় আমি ভোট বর্জন করি। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন ১৭টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহন স্থগিত করে এবং বাকি ৮টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনা করে। ঘোষিত ৮ কেন্দ্রের ফলাফল বাতিলের জন্য আমার রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। কমিশন মহামান্য হাইকোর্টের জবাব না দিয়ে ১৪ কেন্দ্রে ভোটগ্রহনের সিদ্ধান্ত পক্ষপাত মূলক।
তিনি কমিশনের সিদ্ধান্তে ইতোপূর্বে ভোটগ্রহন স্থগিতকৃত তিনটি কেন্দ্র গোপাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং অরুণ চন্দ্র উচ্চ বিদআলয় কেন্দ্রের ফলাফল গেজেটে প্রকাশ না করে ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেরনে উপস্থিত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্মহাসচিব মো. শাহজাহান বলেন, ‘সরকারের চাপের কাচে যে নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ড সোজা রাখতে পারেনা, তাঁদের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন আশা করা যায়না। নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে সরকার বা প্রশাসনের যেকোন চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র এবার আমরা অত্যন্ত কঠোরভাবে মোকাবেলা করবো। এরজন্য অশান্ত পরিস্থিতির সৃস্টি হলে সে দায় আমরা নেবনা’।
কবিরহাট, নোয়াখালী ও সেনবাগ এই তিনটি পৌরসভায় আওয়ামীলগী সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখলসহ বিভিন্ন অনিয় সহিংসতার অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থরা ভোট বর্জনের ঘোষনা করে পরদিন পুরো জেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছিল।
- আবু নাছের মঞ্জু