আবু নাছের মঞ্জুঃ
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় পতিত জমিতে তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছে কৃষক। লবনাক্ততা ও মরুময়তার কারণে বছরের পর বছর পড়ে থাকা জমিতে তরমুজের ফলন কৃষকের মনে আশার আলো জাগিয়েছে। এই তরমুজই হয়ে
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে, কবিরহাট উপজেলায় মোট চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ২৩ হাজার ৯২৪ হেক্টর। বর্ষায় জলাবদ্ধাতা আর শুষ্ক মৌসুমে মরুময়তা ও লবনাক্ততার কারণে পুরোটা জমিই এক ফসলী। মাত্রারিরিক্ত লবনাক্ততার কারণে ৭৫ হেক্টর জমিতে কোন ফসলই হয় না। এসব বন্ধ্যা জমি নিয়ে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা দেয়া দেয়। গত বছর বিসিআইসি’র স্থানীয় ডিলার জসিম উদ্দিন চরের পতিত জমিগুলো কিভাবে চাষাবাদ করা যায় তা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের সাথে বৈঠকে বসেন। এরপর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্যে পাশের সুবর্ণচর উপজেলায় থেকে কয়েকজন সফল তরমুজ চাষিকে নিজেদের এলাকায় নিয়ে আসেন জসিম। করিহাটের চর মন্ডলিয়াতে ছয় একর পতিত জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজের চাষ করেন ওই চার কৃষক। স্থানীয় লোকজন তরমুজ চাষের জন্য তাদেরকে সহজ শর্তে নিজেদের জমি দেন। কৃষি বিভাগ থেকে উন্নত বীজ ও ডিলারের পক্ষ থেকে সার, কিটনাশক সহ আনুসাঙ্গিক সহায়তা দেয়া হয়। পুকুরের তলদেশে গর্ত করে তোলা পানি তরমুজের ক্ষেতে ব্যবহার করেন কৃষকরা। একর প্রতি ৪০ হাজার টাকা খরচ বাদ দিয়ে উৎপদিত তরমুজ বিক্রি করে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় করেন চার কৃষক। গতবারের সাফল্য দেখে এবার ধানশালিক ইউনিয়নের চর মন্ডলিয়া ও গুল্লাখালিতে ৮০ একর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। এবারও ফলন হয়েছে ভালো। এরই মধ্যে উৎপাদিত তরমুজ বিক্রির জন্য বাজারে যাচ্ছে। এখানে উৎপাদিত তরমুজ দেখতে সুন্দর, আকারে বড় এবং সুস্বাধু হওয়ায় স্থানীয় বাজারে বেশ চাহিদাও রয়েছে।
এ ব্যপারে সুবর্ণচর থেকে আসা সফল তরমুজ চাষী আবদুল মন্নাছ জানান, তাদের এলাকায় গত ১০ বছর থেকে তরমুজের চাষ হচ্ছে। খরচের তুলনায় তরমুজ চাষে লাভও ভালো হওয়াতে এনেকেই এতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তিনি বলেন-‘গত বছর আমরা এখানে এসে ছয় এক জমিতে তরমুজের চাষ করি। এ বছর ২০ কানি জমি চাষ করতেছি। আল্লাহর রহমতে ফসল খুব ভালো হয়েছে। তবে, পানির ব্যবস্থা থাকলে আরো অনেক ভালো হতো।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফারুক জানান-পানির অভাব দূর করা গেলে তার এলাকায় আরো চার থেকে পাঁচশ একর জমি চাষাবাদ করা যেতো। তাছাড়া বেড়িবাঁধ না থাকায় লোনা পানি এসে চাষাবাদে সমস্যা করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান- কবিরহাটের চরে তরমুজ একেবারেই নতুন একটি ফসল। প্রাথমিকভাবে গত বছর মাত্র ছয় একর জমিতে কৃষি বিভাগ থেকে তরমুজের বীজ সরবরাহ করা হয়। এতে ব্যাপক সাফল্য পান কৃষকরা। গুটি কয়েক কৃষকের সাফল্য দেখে এবার আরো ব্যাপকহারে তরমুজের আবাদ করা হয়েছে। তিনি বলেন-‘আমারা আশাবাদি এই মৌসুমে প্রতি একরে কৃষকের ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভবান হবে। এখানে কৃষকদেরকে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হলে, বিশেষ করে পর্যাপ্ত নলকূপের ব্যবস্থা ও ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে অত্র অঞ্চলে তরমুজের চাষ সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে এখানকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব।’
পতিত জমিতে তরমুজ চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ উদ্যোগী হবে এমনটাই প্রত্যাশা কৃষকদের।
উঠেছে চরের কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানোর অবলম্বন।
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় পতিত জমিতে তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছে কৃষক। লবনাক্ততা ও মরুময়তার কারণে বছরের পর বছর পড়ে থাকা জমিতে তরমুজের ফলন কৃষকের মনে আশার আলো জাগিয়েছে। এই তরমুজই হয়ে
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে, কবিরহাট উপজেলায় মোট চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ২৩ হাজার ৯২৪ হেক্টর। বর্ষায় জলাবদ্ধাতা আর শুষ্ক মৌসুমে মরুময়তা ও লবনাক্ততার কারণে পুরোটা জমিই এক ফসলী। মাত্রারিরিক্ত লবনাক্ততার কারণে ৭৫ হেক্টর জমিতে কোন ফসলই হয় না। এসব বন্ধ্যা জমি নিয়ে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা দেয়া দেয়। গত বছর বিসিআইসি’র স্থানীয় ডিলার জসিম উদ্দিন চরের পতিত জমিগুলো কিভাবে চাষাবাদ করা যায় তা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের সাথে বৈঠকে বসেন। এরপর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্যে পাশের সুবর্ণচর উপজেলায় থেকে কয়েকজন সফল তরমুজ চাষিকে নিজেদের এলাকায় নিয়ে আসেন জসিম। করিহাটের চর মন্ডলিয়াতে ছয় একর পতিত জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজের চাষ করেন ওই চার কৃষক। স্থানীয় লোকজন তরমুজ চাষের জন্য তাদেরকে সহজ শর্তে নিজেদের জমি দেন। কৃষি বিভাগ থেকে উন্নত বীজ ও ডিলারের পক্ষ থেকে সার, কিটনাশক সহ আনুসাঙ্গিক সহায়তা দেয়া হয়। পুকুরের তলদেশে গর্ত করে তোলা পানি তরমুজের ক্ষেতে ব্যবহার করেন কৃষকরা। একর প্রতি ৪০ হাজার টাকা খরচ বাদ দিয়ে উৎপদিত তরমুজ বিক্রি করে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় করেন চার কৃষক। গতবারের সাফল্য দেখে এবার ধানশালিক ইউনিয়নের চর মন্ডলিয়া ও গুল্লাখালিতে ৮০ একর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। এবারও ফলন হয়েছে ভালো। এরই মধ্যে উৎপাদিত তরমুজ বিক্রির জন্য বাজারে যাচ্ছে। এখানে উৎপাদিত তরমুজ দেখতে সুন্দর, আকারে বড় এবং সুস্বাধু হওয়ায় স্থানীয় বাজারে বেশ চাহিদাও রয়েছে।
এ ব্যপারে সুবর্ণচর থেকে আসা সফল তরমুজ চাষী আবদুল মন্নাছ জানান, তাদের এলাকায় গত ১০ বছর থেকে তরমুজের চাষ হচ্ছে। খরচের তুলনায় তরমুজ চাষে লাভও ভালো হওয়াতে এনেকেই এতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তিনি বলেন-‘গত বছর আমরা এখানে এসে ছয় এক জমিতে তরমুজের চাষ করি। এ বছর ২০ কানি জমি চাষ করতেছি। আল্লাহর রহমতে ফসল খুব ভালো হয়েছে। তবে, পানির ব্যবস্থা থাকলে আরো অনেক ভালো হতো।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফারুক জানান-পানির অভাব দূর করা গেলে তার এলাকায় আরো চার থেকে পাঁচশ একর জমি চাষাবাদ করা যেতো। তাছাড়া বেড়িবাঁধ না থাকায় লোনা পানি এসে চাষাবাদে সমস্যা করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান- কবিরহাটের চরে তরমুজ একেবারেই নতুন একটি ফসল। প্রাথমিকভাবে গত বছর মাত্র ছয় একর জমিতে কৃষি বিভাগ থেকে তরমুজের বীজ সরবরাহ করা হয়। এতে ব্যাপক সাফল্য পান কৃষকরা। গুটি কয়েক কৃষকের সাফল্য দেখে এবার আরো ব্যাপকহারে তরমুজের আবাদ করা হয়েছে। তিনি বলেন-‘আমারা আশাবাদি এই মৌসুমে প্রতি একরে কৃষকের ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভবান হবে। এখানে কৃষকদেরকে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হলে, বিশেষ করে পর্যাপ্ত নলকূপের ব্যবস্থা ও ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে অত্র অঞ্চলে তরমুজের চাষ সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে এখানকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব।’
পতিত জমিতে তরমুজ চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ উদ্যোগী হবে এমনটাই প্রত্যাশা কৃষকদের।