লোকসংবাদ প্রতিনিধি:
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের বড় দীঘির দক্ষিণ পাড়ে সরকারি উন্মুক্ত জায়গায় বাণিজ্যিক ড্রিম পার্ক নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী তিন মাস পর্যন্ত উক্ত স্থানে সকল প্রকার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। একই সাথে ওই স্থানে অনুমোদনহীন বাণিজ্যিক ড্রিম পার্ক নির্মাণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুলও জারী করে আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অন্তর্ববর্তীকালীন এ আদেশসহ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার সচিব, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট ৭ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে নোয়াখালী জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি সহিদ সারওযার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এমরান মোহাম্মদ আলীসহ কয়েকজন এ রিট আবেদন দায়ের করেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও সিরাজুল আলম ভূঁইয়া। বুধবার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানীকারী অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
আবেদনকারীদের অভিযোগ, দীঘিটি জেলা শহরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ। এটি জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। দীঘির দক্ষিণ পাড়ে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত। বিগত প্রায় পঁচিশ বছর ধরে এ পাড়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা, বইমেলা, বৈশাখী উৎসব হয়ে আসছে। গণপূর্ত বিভাগের এই জায়গাটি শহরের একমাত্র মুক্ত এলাকা। জাতীয় বিভিন্ন দিবস আয়োজনের পাশাপাশি অন্য সময় এই স্থানটি নাগরিকদের প্রাত ও বৈকালিন ভ্রমণের জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই দীঘির পাড়েই রয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারেজাতীয় সংসদের প্রাক্তন ও আ.লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মালেক উকিলের সমাধী।
এখানে বাণিজ্যিক পার্ক নির্মাণ করা হলে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক, কচি-কাঁচার মেলা, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা, বৈশাখি উৎসব চত্বর ও মুক্তমনা মানুষগুলোর বিচরণস্থল সংকুচিত হবে। হুমকির মুখে পড়বে জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য। তারা বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে গণপূর্ত বিভাগ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই নোয়াখালী পৌরসভা বাণিজ্যিকভাবে একটি পার্ক নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক সংলগ্ন খালি জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় জেলার নাগরিক সমাজ ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো অব্যাহত রয়েছে। এরপরও তারা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
এ দিকে গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায় পার্কের নির্মাণ কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশিদ আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি লিখিত কোনো ডকুমেন্টস্ পাননি। তবে লোকমুখে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি শুনেছেন।
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের বড় দীঘির দক্ষিণ পাড়ে সরকারি উন্মুক্ত জায়গায় বাণিজ্যিক ড্রিম পার্ক নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী তিন মাস পর্যন্ত উক্ত স্থানে সকল প্রকার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। একই সাথে ওই স্থানে অনুমোদনহীন বাণিজ্যিক ড্রিম পার্ক নির্মাণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুলও জারী করে আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অন্তর্ববর্তীকালীন এ আদেশসহ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার সচিব, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট ৭ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে নোয়াখালী জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি সহিদ সারওযার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এমরান মোহাম্মদ আলীসহ কয়েকজন এ রিট আবেদন দায়ের করেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও সিরাজুল আলম ভূঁইয়া। বুধবার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানীকারী অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
আবেদনকারীদের অভিযোগ, দীঘিটি জেলা শহরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ। এটি জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। দীঘির দক্ষিণ পাড়ে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত। বিগত প্রায় পঁচিশ বছর ধরে এ পাড়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা, বইমেলা, বৈশাখী উৎসব হয়ে আসছে। গণপূর্ত বিভাগের এই জায়গাটি শহরের একমাত্র মুক্ত এলাকা। জাতীয় বিভিন্ন দিবস আয়োজনের পাশাপাশি অন্য সময় এই স্থানটি নাগরিকদের প্রাত ও বৈকালিন ভ্রমণের জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই দীঘির পাড়েই রয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারেজাতীয় সংসদের প্রাক্তন ও আ.লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মালেক উকিলের সমাধী।
এখানে বাণিজ্যিক পার্ক নির্মাণ করা হলে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক, কচি-কাঁচার মেলা, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা, বৈশাখি উৎসব চত্বর ও মুক্তমনা মানুষগুলোর বিচরণস্থল সংকুচিত হবে। হুমকির মুখে পড়বে জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য। তারা বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে গণপূর্ত বিভাগ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই নোয়াখালী পৌরসভা বাণিজ্যিকভাবে একটি পার্ক নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক সংলগ্ন খালি জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় জেলার নাগরিক সমাজ ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো অব্যাহত রয়েছে। এরপরও তারা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
এ দিকে গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায় পার্কের নির্মাণ কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশিদ আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি লিখিত কোনো ডকুমেন্টস্ পাননি। তবে লোকমুখে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি শুনেছেন।