আবু নাছের মঞ্জু:
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে শহীদ মিনার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ও বৈশাখী মেলা প্রাঙ্গণে সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে বাণিজ্যিক পার্ক নির্মাণের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজ প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে। এনিয়ে আদালতে মামলা দায়ের, প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও প্রচারপত্র বিলি সহ বিভিন্ন কর্মসূচির পর নোয়াখালী নাগরিক অধিকার মোর্চার ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
শনিবার নোয়াখালী কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক অধিকার মোর্চার যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রাসুল মামুন। এ সময় নাগরিক অধিকার মোর্চার অপর যুগ্ম আহ্বায়ক আ.ন.ম জাহের উদ্দিন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নোয়াখালীর সভাপতি বিমলেন্দু মজুমদার ও সহ সভাপতি মহিউদ্দিন ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পঞ্চাশের দশকে মাইজদী শহর গড়ে ওঠার প্রাক্কালে মাইজদী বড় দীঘিটি খনন করা হয় এবং সেই থেকে এটি জেলা শহরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ। এটি জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। দীঘির দক্ষিণ পাড়ে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। বিগত প্রায় পঁচিশ বছর ধরে যেখানে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা, স্বাধীনতা উৎসব, একুশে বইমেলা ও বৈশাখী মেলা সহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড হয়ে আসছে। উন্মুক্ত এই জায়গাটি শহরবাসীর প্রাত ও বৈকালিন ভ্রমণের জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে আলিফ ডেভেলপার প্রপ্রাটিজ কোম্পানী নামে জামায়াত সংশ্লিষ্ট একটি অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান জায়গাটিতে বাণিজ্যিক ড্রিম পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু করে। সংবাদ সম্মেলনে তোলা হয়, জায়গাটির মূল মালিক গণপূর্ত বিভাগ হলেও নোয়াখালী পৌরসভা পার্কের জন্যে ওই প্রতিষ্ঠানকে জায়গাটি ৯০ বছরের জন্যে ইজারা দেয়। এখানে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরের আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ড্রিমপার্ক নির্মাণের উদ্যোগকে শহীদ মিনার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা, একুশে বই মেলা ও বৈশাখী উৎসব সহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের জন্য উন্মুক্ত অঙ্গনকে সংকুচিত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে শহরবাসী। এনিয়ে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সংস্কৃতি কর্মী ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয়। একই সময় পৌরসভার বিরুদ্ধে থানায় জবর দখলের মামলা করে গণপূর্ত বিভাগ। এরপর কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখা হলেও গত কয়েদিন থেকে আবার অবৈধভাবে প্রাচীর তৈরি, দিঘির পাড় ভরাট সহ পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। উন্মুক্ত স্থানে ১৫ ফুট উঁচু দেয়াল তুলে বাণিজ্যিক পার্ক করার প্রতিবাদে শিশু কিশোররা মানববন্ধন ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
নোয়াখালী নাগরিক অধিকার মোর্চার যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রাসুল মামুন অভিযোগ করেন, যে স্থানে পার্ক নির্মাণ হচ্ছে তার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এই বিশাল অংকের টাকার পরিমাণ জমি একটি জামায়াত সংশ্লিস্ট প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়া দেশের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত; এটি তাদের আর্থিক ভীত এবং রাজনীতিকে নোয়াখালীতে আরো শক্তিশালী করবে।
সংবাদ সম্মেলনে এই ধরণের বাণিজ্যিক পার্ক নির্মান বন্ধ করে স্বাধীনতা ও জাতীয় জীবনের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে অক্ষত রেখে দক্ষিণ পাড়কে ‘স্বাধীনতা উদ্যান’ নামকরণ করাসহ পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবি না মানা হলে আগামী দিনে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুশিয়ারি দেয়া হয়।
এ ব্যপারে নোয়াখালী নাগরিক অধিকার মোর্চার আরেক যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আলম মাসুদ জানান, পার্কটি নির্মাণের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ১৯৯৭ সালের একটি ঘোষণাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করছে। যেখানে তিনি নোয়াখালীতে একটি পার্ক নির্মাণের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০১২ সালে পৌরসভা দীঘির উত্তর ও পূর্ব পাড়ে একটি পার্কও তৈরি করেছে। কিন্তু বর্তমানে পৌরসভা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে স্বাধীনতা ও জাতীয় জীবনের এই সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে সংকুচিত করে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত একটি কোম্পানিকে দিয়ে পার্ক নির্মাণ করছে। প্রধানমন্ত্রী যখন জনগণকে প্রতিশ্রুতি দেন তখন কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠি স্বার্থের জন্য কোনো প্রতিশ্রুতি দেন না। এটি প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রতারণার শামিল।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) কাজী মানছুরুল হক খসরু বলেন, এখানে দেয়ালে ঘেরা এই ধরণের বাণিজ্যিক পার্ক করা হলে আমাদের বৈশাখী মেলা, মুক্তিযদ্ধের বিজয় মেলা এবং ওপেন এয়ারে সরকারি বেরকারি অনুষ্ঠানাদি করার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। জলার মুক্ত জলাধার এই দিঘির নান্দনিক সৌন্দর্যহানী হবে, অতিথি পাখির আসা যাওয়া রুদ্ধ হবে।
নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির প্রধান নির্বাহী আবদুল আউয়াল বলেন, নোয়াখালী পৌরসভা নাগরিকদের সাথে কোন প্রকার আলাপ আলোচনা না করে সরকারি জায়গা এমিউজমেন্ট পার্কেও জন্যে বেরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়। আমরা এই ধরণের সীমাবদ্ধ পার্ক চাই না যেখানে নাগরিকদেরকে টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রবশ করতে হবে।
এ ব্যপারে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একিউএম শাহজালাল মজমুদার বলেন, নোয়াখালী পৌরসভা জোর করে গণপূর্ত বিভাগের জায়গা দখলে নিয়ে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে পার্ক করাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা আদালতে মামলা করা দায়ের করি। এরপরও জোরপূর্বক পার্কের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নোয়াখালীর সহ সভাপতি মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, ঐতিহ্যবাহী বড় দিঘির পাড়ে কোন পার্ক আমরা মেনে নেব না। এর সব পাড় সর্বসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত রাখতে হবে।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো: হারুনুর রশিদ আজাদ জানান, কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান না বুঝেই পার্কের বিরোধীতা করছে। জায়গাটির মালিক গণপূর্ত বিভাগ হলেও পৌরসভা দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। তাছাড়া পৌরসভা প্রতিকী মূল্যে জায়গাটি পাওয়ার জন্যে গণপূর্ত বিভাগের কাছে আবেদন করে এবং তাতে স্থানীয় সাংসদ ও গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর সম্মতি রয়েছে। শহরের মাস্টার প্লানেও জায়গাটি পার্ক হিসেবে দেখানো রয়েছে বলেই দাবি করেন মেয়র। তিনি বলেন-এখানে পার্ক হলে শহরের শিশু কিশোরা বিনোদনের সুবিধা পাবে। এরপরও একটি পক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে শহীদ মিনার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ও বৈশাখী মেলা প্রাঙ্গণে সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে বাণিজ্যিক পার্ক নির্মাণের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজ প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে। এনিয়ে আদালতে মামলা দায়ের, প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও প্রচারপত্র বিলি সহ বিভিন্ন কর্মসূচির পর নোয়াখালী নাগরিক অধিকার মোর্চার ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
শনিবার নোয়াখালী কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক অধিকার মোর্চার যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রাসুল মামুন। এ সময় নাগরিক অধিকার মোর্চার অপর যুগ্ম আহ্বায়ক আ.ন.ম জাহের উদ্দিন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নোয়াখালীর সভাপতি বিমলেন্দু মজুমদার ও সহ সভাপতি মহিউদ্দিন ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পঞ্চাশের দশকে মাইজদী শহর গড়ে ওঠার প্রাক্কালে মাইজদী বড় দীঘিটি খনন করা হয় এবং সেই থেকে এটি জেলা শহরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ। এটি জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। দীঘির দক্ষিণ পাড়ে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। বিগত প্রায় পঁচিশ বছর ধরে যেখানে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা, স্বাধীনতা উৎসব, একুশে বইমেলা ও বৈশাখী মেলা সহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড হয়ে আসছে। উন্মুক্ত এই জায়গাটি শহরবাসীর প্রাত ও বৈকালিন ভ্রমণের জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে আলিফ ডেভেলপার প্রপ্রাটিজ কোম্পানী নামে জামায়াত সংশ্লিষ্ট একটি অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান জায়গাটিতে বাণিজ্যিক ড্রিম পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু করে। সংবাদ সম্মেলনে তোলা হয়, জায়গাটির মূল মালিক গণপূর্ত বিভাগ হলেও নোয়াখালী পৌরসভা পার্কের জন্যে ওই প্রতিষ্ঠানকে জায়গাটি ৯০ বছরের জন্যে ইজারা দেয়। এখানে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরের আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ড্রিমপার্ক নির্মাণের উদ্যোগকে শহীদ মিনার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা, একুশে বই মেলা ও বৈশাখী উৎসব সহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের জন্য উন্মুক্ত অঙ্গনকে সংকুচিত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে শহরবাসী। এনিয়ে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সংস্কৃতি কর্মী ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয়। একই সময় পৌরসভার বিরুদ্ধে থানায় জবর দখলের মামলা করে গণপূর্ত বিভাগ। এরপর কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখা হলেও গত কয়েদিন থেকে আবার অবৈধভাবে প্রাচীর তৈরি, দিঘির পাড় ভরাট সহ পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। উন্মুক্ত স্থানে ১৫ ফুট উঁচু দেয়াল তুলে বাণিজ্যিক পার্ক করার প্রতিবাদে শিশু কিশোররা মানববন্ধন ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
নোয়াখালী নাগরিক অধিকার মোর্চার যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রাসুল মামুন অভিযোগ করেন, যে স্থানে পার্ক নির্মাণ হচ্ছে তার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এই বিশাল অংকের টাকার পরিমাণ জমি একটি জামায়াত সংশ্লিস্ট প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়া দেশের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত; এটি তাদের আর্থিক ভীত এবং রাজনীতিকে নোয়াখালীতে আরো শক্তিশালী করবে।
সংবাদ সম্মেলনে এই ধরণের বাণিজ্যিক পার্ক নির্মান বন্ধ করে স্বাধীনতা ও জাতীয় জীবনের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে অক্ষত রেখে দক্ষিণ পাড়কে ‘স্বাধীনতা উদ্যান’ নামকরণ করাসহ পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবি না মানা হলে আগামী দিনে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুশিয়ারি দেয়া হয়।
এ ব্যপারে নোয়াখালী নাগরিক অধিকার মোর্চার আরেক যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আলম মাসুদ জানান, পার্কটি নির্মাণের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ১৯৯৭ সালের একটি ঘোষণাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করছে। যেখানে তিনি নোয়াখালীতে একটি পার্ক নির্মাণের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০১২ সালে পৌরসভা দীঘির উত্তর ও পূর্ব পাড়ে একটি পার্কও তৈরি করেছে। কিন্তু বর্তমানে পৌরসভা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে স্বাধীনতা ও জাতীয় জীবনের এই সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে সংকুচিত করে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত একটি কোম্পানিকে দিয়ে পার্ক নির্মাণ করছে। প্রধানমন্ত্রী যখন জনগণকে প্রতিশ্রুতি দেন তখন কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠি স্বার্থের জন্য কোনো প্রতিশ্রুতি দেন না। এটি প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রতারণার শামিল।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) কাজী মানছুরুল হক খসরু বলেন, এখানে দেয়ালে ঘেরা এই ধরণের বাণিজ্যিক পার্ক করা হলে আমাদের বৈশাখী মেলা, মুক্তিযদ্ধের বিজয় মেলা এবং ওপেন এয়ারে সরকারি বেরকারি অনুষ্ঠানাদি করার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। জলার মুক্ত জলাধার এই দিঘির নান্দনিক সৌন্দর্যহানী হবে, অতিথি পাখির আসা যাওয়া রুদ্ধ হবে।
নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির প্রধান নির্বাহী আবদুল আউয়াল বলেন, নোয়াখালী পৌরসভা নাগরিকদের সাথে কোন প্রকার আলাপ আলোচনা না করে সরকারি জায়গা এমিউজমেন্ট পার্কেও জন্যে বেরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়। আমরা এই ধরণের সীমাবদ্ধ পার্ক চাই না যেখানে নাগরিকদেরকে টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রবশ করতে হবে।
এ ব্যপারে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একিউএম শাহজালাল মজমুদার বলেন, নোয়াখালী পৌরসভা জোর করে গণপূর্ত বিভাগের জায়গা দখলে নিয়ে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে পার্ক করাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা আদালতে মামলা করা দায়ের করি। এরপরও জোরপূর্বক পার্কের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নোয়াখালীর সহ সভাপতি মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, ঐতিহ্যবাহী বড় দিঘির পাড়ে কোন পার্ক আমরা মেনে নেব না। এর সব পাড় সর্বসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত রাখতে হবে।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো: হারুনুর রশিদ আজাদ জানান, কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান না বুঝেই পার্কের বিরোধীতা করছে। জায়গাটির মালিক গণপূর্ত বিভাগ হলেও পৌরসভা দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। তাছাড়া পৌরসভা প্রতিকী মূল্যে জায়গাটি পাওয়ার জন্যে গণপূর্ত বিভাগের কাছে আবেদন করে এবং তাতে স্থানীয় সাংসদ ও গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর সম্মতি রয়েছে। শহরের মাস্টার প্লানেও জায়গাটি পার্ক হিসেবে দেখানো রয়েছে বলেই দাবি করেন মেয়র। তিনি বলেন-এখানে পার্ক হলে শহরের শিশু কিশোরা বিনোদনের সুবিধা পাবে। এরপরও একটি পক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।