আবু নাছের মঞ্জু:
নোয়াখালীর দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে জেলাবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষিত নোয়াখালী খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘নোয়াখালী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে বন্যা ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’ উদ্বোধন করেন।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। এ সময় পুলিশ সুপার মোঃ ইলিয়াছ শরীফ পিপিএম-সেবা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা: এবিএম জাফর উল্লাহ, প্রধান নিবাহী কর্মকর্তা ড. মোঃ মাহে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন সহ বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও প্রকল্পের উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আজকে নোয়াখালীর দুঃখ নোয়াখালী খাল পুনঃখন প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করছেন তাই এই দিনটি আমাদের কাছে চির:স্মরনীয় হয়ে থাকবে। আজকে নোয়াখালীবাসী আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। আমরা নোয়াখালীবাসী সারাজীবন আপনার সাথে থেকে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।’
জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে নোয়াখালীর মানুষের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন পুরন হতে চলছে। এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা সম্যার সমাধানের পাশাপাশি জেলার কৃষি, মৎস্য খাত সহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে নবদিগন্ত সূচিত হবে।’
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন,‘ নোয়াখালীবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চীর কৃতজ্ঞ, কারণ স্বাধীনতার পর কোন সরকার এই জেলার জন্য এতোবড় একটি প্রকল্প হাতে নেয়নি। এই প্রকল্পের ফলে নোয়াখালীর মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং জেলার অর্থনীতিতে নতুন প্রাণসঞ্চার হবে।’
নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, ৩২৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে রয়েছে ১৮২.১০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন, বামনী নদীর ৭ কিলোমিটার ডেজিং, বামনী নদীতে ১৯ ভেল্টের ড্রেনেজ একটি স্লুইস নির্মাণ, মহিষমারা খালের উপর দুই ভেল্টের একটি স্লুইস নির্মাণ, বামনী ১৯ ভেল্ট বিশিষ্ট রেগুলেটরের ডাইভারশন চ্যানেল খনন, বামনী নদীর উপর ৩০০ মিটার একটি ক্লোজার নির্মাণ, সন্ধীপ চ্যানেলের মুছাপুর, গুচ্ছগ্রাম, চর কচ্ছপিয়া, চর লেঙ্গটা ও চর এলাহী এলাকার ১০ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ, ১৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও ১০৫২ মিটার লুপ কাট খনন। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের ভৌত কাজ ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছর থেকে বাস্তবায়ন হবে এবং শেষ হবে ২০২১ সালের ৩০ জুন।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নোয়াখালী সদর, কোম্পানীঞ্জ, করিবহাট ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান, কৃষিতে সেচ সুবিধা নিশ্চিত সহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
ছোট-বড় মিলে নোয়াখালীতে রয়েছে ২৮৮ খাল। দখল ও ভরাটের কারণে খালগুলোর বেশীর ভাগই বিলুপ্তির পথে। একসময় এই খালগুলো দিয়ে নৌকা চলতো এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে নৌকাযোগে ব্যাবসায়ীরা মালামাল আনা নেয়া করতো। এখন সেই খালগুলোর অস্তিত্ব বিলীনের পথে। এক সময়ের খরস্রোতা খালগুলো এখন কোথাও কোথাও নালায় পরিনত হয়েছে। এছাড়াও উপকূলী অঞ্চলে পলি মাটি জমে খালের তলা উচুঁ হয়ে যাওয়ায় কারণে পানি নিস্কাষনের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে দেখা দেয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। আবার শুস্ক মৌসুমে দেখা দেয় ফসলী জমিতে পানির তীব্র সংকট। নোয়াখালী খাল পুনঃ খনন করে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার পাশাপাশি তিন ফসল চাষাবাদের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল জেলাবাসীর।
#
নোয়াখালীর দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে জেলাবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষিত নোয়াখালী খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘নোয়াখালী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে বন্যা ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’ উদ্বোধন করেন।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। এ সময় পুলিশ সুপার মোঃ ইলিয়াছ শরীফ পিপিএম-সেবা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা: এবিএম জাফর উল্লাহ, প্রধান নিবাহী কর্মকর্তা ড. মোঃ মাহে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন সহ বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও প্রকল্পের উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আজকে নোয়াখালীর দুঃখ নোয়াখালী খাল পুনঃখন প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করছেন তাই এই দিনটি আমাদের কাছে চির:স্মরনীয় হয়ে থাকবে। আজকে নোয়াখালীবাসী আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। আমরা নোয়াখালীবাসী সারাজীবন আপনার সাথে থেকে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।’
জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে নোয়াখালীর মানুষের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন পুরন হতে চলছে। এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা সম্যার সমাধানের পাশাপাশি জেলার কৃষি, মৎস্য খাত সহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে নবদিগন্ত সূচিত হবে।’
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন,‘ নোয়াখালীবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চীর কৃতজ্ঞ, কারণ স্বাধীনতার পর কোন সরকার এই জেলার জন্য এতোবড় একটি প্রকল্প হাতে নেয়নি। এই প্রকল্পের ফলে নোয়াখালীর মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং জেলার অর্থনীতিতে নতুন প্রাণসঞ্চার হবে।’
নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, ৩২৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে রয়েছে ১৮২.১০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন, বামনী নদীর ৭ কিলোমিটার ডেজিং, বামনী নদীতে ১৯ ভেল্টের ড্রেনেজ একটি স্লুইস নির্মাণ, মহিষমারা খালের উপর দুই ভেল্টের একটি স্লুইস নির্মাণ, বামনী ১৯ ভেল্ট বিশিষ্ট রেগুলেটরের ডাইভারশন চ্যানেল খনন, বামনী নদীর উপর ৩০০ মিটার একটি ক্লোজার নির্মাণ, সন্ধীপ চ্যানেলের মুছাপুর, গুচ্ছগ্রাম, চর কচ্ছপিয়া, চর লেঙ্গটা ও চর এলাহী এলাকার ১০ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ, ১৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও ১০৫২ মিটার লুপ কাট খনন। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের ভৌত কাজ ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছর থেকে বাস্তবায়ন হবে এবং শেষ হবে ২০২১ সালের ৩০ জুন।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নোয়াখালী সদর, কোম্পানীঞ্জ, করিবহাট ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান, কৃষিতে সেচ সুবিধা নিশ্চিত সহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
ছোট-বড় মিলে নোয়াখালীতে রয়েছে ২৮৮ খাল। দখল ও ভরাটের কারণে খালগুলোর বেশীর ভাগই বিলুপ্তির পথে। একসময় এই খালগুলো দিয়ে নৌকা চলতো এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে নৌকাযোগে ব্যাবসায়ীরা মালামাল আনা নেয়া করতো। এখন সেই খালগুলোর অস্তিত্ব বিলীনের পথে। এক সময়ের খরস্রোতা খালগুলো এখন কোথাও কোথাও নালায় পরিনত হয়েছে। এছাড়াও উপকূলী অঞ্চলে পলি মাটি জমে খালের তলা উচুঁ হয়ে যাওয়ায় কারণে পানি নিস্কাষনের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে দেখা দেয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। আবার শুস্ক মৌসুমে দেখা দেয় ফসলী জমিতে পানির তীব্র সংকট। নোয়াখালী খাল পুনঃ খনন করে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার পাশাপাশি তিন ফসল চাষাবাদের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল জেলাবাসীর।
#