লোকসংবাদ প্রতিবেদন:
স্বাধীনতা উত্তোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা অহিদুর রহমান অদুদর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী ২১ নভেম্বর। একাত্তরের এইদিনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তালমোহাম্মদের হাটে পাক মিলিশিয়া ও রাজাকার ক্যাম্প আক্রমনকালে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন তিনি।
অহিদুর রহমান অদুদ ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) সমাজকল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নোয়াখালীবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান।
অহিদুর রহমান অদুদের জন্ম ১৯৪৯ সালে ২৮ জানুয়ারি নোয়াখালী জেলা শহরের ল ইয়ার্স কলোনিতে। তার বাবা মুজিবুর রহমান মোক্তার অবিভক্ত বাংলার গণপরিষদ সদস্য এবং পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য ছিলেন।
শহীদ অহিদুর রহমান অদুদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি লায়ন শাহ আলম জানান, শহীদ অহিদুর রহমান অদুদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ছাত্র সমাজের ১১ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর বিশেষ ভূমিকার কারণে তিনি সকলের নিকট সুপরিচিত ছিলেন। ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রান কাজ, ৭০ এর নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ছাত্র ও যুব সমাজ সহ সর্বস্তরের মানুষের প্রিয়জন হয়ে উঠেন। তিনি পিতৃ পরিচয়ের সুবাদে রাজনীতি সংশ্লিষ্টতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে বঙ্গবন্ধুর সাথে মাঝে মধ্যে দেখা করতেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি বাঙ্গালী জাতীয়তা, শোষন মুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ও অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন।
২৫ মার্চের পর ভারতে উচ্চতর গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে নোয়াখালী ফিরে আসেন অদুদ। তিনি অবিভক্ত সদর থানার বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের (বিএলএল) অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ও তার সহযোদ্ধারা কবিরহাট, চাপরাশিরহাট, কালামুন্সি রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ চালিয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তালমোহাম্মদের হাট পাক মিলিশিয়া ও রাজাকার ক্যাম্প আক্রমনকালে সম্মুখ যুদোধ শহীদ হন। পরদিন বর্তমান প্রতিষ্ঠিত বামনী কলেজের নিকটবর্তী স্থান থেকে সাথী মুক্তিযোদ্ধারা তাঁহা মরদেহ উদ্ধার করে বর্তমান কবিরহাট উপজেলার অন্তর্গত লামছি প্রসাদ গ্রামে পশ্চিম তাকিয়া মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করেন। এই বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেটে অর্ন্তভূক্ত করে ক্রমিক নং ৩১৪ এ প্রকাশিত হয়েছে।
লায়ন শাহ আলম বলেন, “শহীদ অহিদুর রহমান অদুদ আমাদের সহযোদ্ধা ছিলেন। তার বীরত্বগাথা নতুন প্রজম্মের কাছে তুলে ধরার জন্য আমরা এই স্মৃতি সংসদ প্রতিষ্ঠা করি। আমাদের দাবি হচ্ছে সরকারিভাবে যেন এখানে একটা পাঠাগার, মিলনায়তন ও স্মৃতিস্তম্ভ করা হয়।”
বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মিজানর রহমান জানান, স্বাধীনতার পর রাজাকার মিলিশিয়া ক্যাম্পের স্থান (বর্তমান কোম্পানীগঞ্জের তালমোহাম্মদের হাট) প্রতিষ্ঠা করা হয় বামনী কলেজে। মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির প্রেক্ষিতে কলেজের সামনের সড়কটিকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা অদুদ সড়ক নামকরণ করা হয়। তবে, জেলা সদরে সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে স্থান পায়নি এই বীরের নাম। “আমরা(মুক্তিযোদ্ধারা) একবার তখনকার ডিসির সঙ্গে এনিয়ে কথা বলার পর রং দিয়ে অস্থায়ীভাবে তার নাম লেখা হয়, যা এখন তা মুছে গেছে।”
শহীদ অহিদুর রহমানের ৪৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের লামছিপ্রসাদ তাকিয়া বাজারে প্রতিষ্ঠিত শহীদ অহিদুর রহমান অদুদ স্মৃতি সংসদ মিলাদ ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করে। এতে মুক্তিযোদ্ধা সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
স্বাধীনতা উত্তোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা অহিদুর রহমান অদুদর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী ২১ নভেম্বর। একাত্তরের এইদিনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তালমোহাম্মদের হাটে পাক মিলিশিয়া ও রাজাকার ক্যাম্প আক্রমনকালে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন তিনি।
অহিদুর রহমান অদুদ ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) সমাজকল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নোয়াখালীবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান।
অহিদুর রহমান অদুদের জন্ম ১৯৪৯ সালে ২৮ জানুয়ারি নোয়াখালী জেলা শহরের ল ইয়ার্স কলোনিতে। তার বাবা মুজিবুর রহমান মোক্তার অবিভক্ত বাংলার গণপরিষদ সদস্য এবং পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য ছিলেন।
শহীদ অহিদুর রহমান অদুদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি লায়ন শাহ আলম জানান, শহীদ অহিদুর রহমান অদুদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ছাত্র সমাজের ১১ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর বিশেষ ভূমিকার কারণে তিনি সকলের নিকট সুপরিচিত ছিলেন। ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রান কাজ, ৭০ এর নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ছাত্র ও যুব সমাজ সহ সর্বস্তরের মানুষের প্রিয়জন হয়ে উঠেন। তিনি পিতৃ পরিচয়ের সুবাদে রাজনীতি সংশ্লিষ্টতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে বঙ্গবন্ধুর সাথে মাঝে মধ্যে দেখা করতেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি বাঙ্গালী জাতীয়তা, শোষন মুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ও অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন।
২৫ মার্চের পর ভারতে উচ্চতর গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে নোয়াখালী ফিরে আসেন অদুদ। তিনি অবিভক্ত সদর থানার বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের (বিএলএল) অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ও তার সহযোদ্ধারা কবিরহাট, চাপরাশিরহাট, কালামুন্সি রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ চালিয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তালমোহাম্মদের হাট পাক মিলিশিয়া ও রাজাকার ক্যাম্প আক্রমনকালে সম্মুখ যুদোধ শহীদ হন। পরদিন বর্তমান প্রতিষ্ঠিত বামনী কলেজের নিকটবর্তী স্থান থেকে সাথী মুক্তিযোদ্ধারা তাঁহা মরদেহ উদ্ধার করে বর্তমান কবিরহাট উপজেলার অন্তর্গত লামছি প্রসাদ গ্রামে পশ্চিম তাকিয়া মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করেন। এই বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেটে অর্ন্তভূক্ত করে ক্রমিক নং ৩১৪ এ প্রকাশিত হয়েছে।
লায়ন শাহ আলম বলেন, “শহীদ অহিদুর রহমান অদুদ আমাদের সহযোদ্ধা ছিলেন। তার বীরত্বগাথা নতুন প্রজম্মের কাছে তুলে ধরার জন্য আমরা এই স্মৃতি সংসদ প্রতিষ্ঠা করি। আমাদের দাবি হচ্ছে সরকারিভাবে যেন এখানে একটা পাঠাগার, মিলনায়তন ও স্মৃতিস্তম্ভ করা হয়।”
বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মিজানর রহমান জানান, স্বাধীনতার পর রাজাকার মিলিশিয়া ক্যাম্পের স্থান (বর্তমান কোম্পানীগঞ্জের তালমোহাম্মদের হাট) প্রতিষ্ঠা করা হয় বামনী কলেজে। মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির প্রেক্ষিতে কলেজের সামনের সড়কটিকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা অদুদ সড়ক নামকরণ করা হয়। তবে, জেলা সদরে সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে স্থান পায়নি এই বীরের নাম। “আমরা(মুক্তিযোদ্ধারা) একবার তখনকার ডিসির সঙ্গে এনিয়ে কথা বলার পর রং দিয়ে অস্থায়ীভাবে তার নাম লেখা হয়, যা এখন তা মুছে গেছে।”
শহীদ অহিদুর রহমানের ৪৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের লামছিপ্রসাদ তাকিয়া বাজারে প্রতিষ্ঠিত শহীদ অহিদুর রহমান অদুদ স্মৃতি সংসদ মিলাদ ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করে। এতে মুক্তিযোদ্ধা সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।